আপিল বিভাগের দুই বিচারকের পদত্যাগ দাবিতে কলো পতাকা মিছিল করেছে বিএনপিসহ সরকার বিরোধী আইনজীবীদের মোর্চা ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট। মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে এই মিছিল করা হয়।
ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের আহ্বায়ক শাহ আহমেদ বাদলের সভাপতিত্বে এবং কো-কনভেনার আইনজীবী মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির আইন সম্পাদক ও ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ফ্রন্টের সমন্বয়ক সৈয়দ মামুন মাহবুব ও গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
সমাবেশে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আজ বিচার বিভাগ ধ্বংসের পথে। বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের একটা আস্থা ছিল। কিন্তু শপথ পাঠ করে কেউ কেউ রাজনীতি করতে চাচ্ছেন।’
বিচারক আবব্দুস সাত্তার ও বিচারক কে এম হাসানের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগের দিনে বিচারপতিরা শপথ নেয়ার পর রাজনীতি করেননি। দলবাজি করেননি।’
আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘রাজনীতি করতে মন চাইলে এখনই পদত্যাগ করুন। বিচারকের পদে থেকে রাজনীতি করলে এদেশের জনগণ তার বিচার করবে।’
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘যারা নিজেদেরকে শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ হিসেবে বিবেচনা করেন তারা রাজনীতিবিদদের কাতারে আসেন। আইনজীবীরা বিচারকদের রাজনীতিবিদ হিসেবে দেখতে চায় না।
‘দেশে বিচারের নামে প্রহসন চলছে। জনস্বার্থের রিটে আমাদের একজন আইনজীবীর পক্ষভুক্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। অথচ সরকারি দলের একজন সংসদ সদস্য তারেক রহমানের কণ্ঠরোধ করার জন্য আবেদন নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুনানি না করেই ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে তা গ্রহণ করা হয়। অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
সমাবেশ শেষে মিছিলটি হাইকোর্ট মাজার গেট দিয়ে কদম ফোয়ারা হয়ে বার কাউন্সিলের পাশের গেট দিয়ে আবার হাইকোর্টে প্রবেশ করে। বেলা ২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে কালো পতাকা মিছিল শেষ হয়।