বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানুষের পেটের খাবার মজুদ করবেন না: খাদ্যমন্ত্রী

  • প্রতিনিধি, নোয়াখালী   
  • ২৯ আগস্ট, ২০২৩ ১৯:৪৮

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের যেহেতু ব্যবসা, সেই ব্যবসা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। মানুষের দিকটাও দেখতে হবে।’

খাদ্য মজুদ না করতে আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘ধান-চালের ব্যবসা একটা সেবামূলক কাজ। মানুষের পেটের খাবার নিজেদের (ব্যবসায়ীদের) কাছে মজুদ করে রেখে, আরেকজনকে কষ্ট দিয়ে আল্লাহর তরফ থেকে আপনি ভালো থাকার সওয়াব পাবেন না। অতএব আপনাদের যেহেতু ব্যবসা, সেই ব্যবসা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। মানুষের দিকটাও দেখতে হবে।’

মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘এই মন্ত্রণালয় চালাতে গিয়ে আমরা মাঝেমধ্যেই ধাক্কা খাচ্ছি। চাল মজুদ আছে প্রচুর, অথচ প্রতিদিন বাজারে দাম বাড়ছে। অনেক গ্রুপ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছে। বড় বড় গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে, যা মামলা চলমান। মামলার ভয় আমি দেখাচ্ছি না।’

এসময় বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যারা অতীতে কিছু দিতে পারেনি, তারা কোনো দিন দিতেও পারবে না। তারা করোনার সময় বলেছিল, ২ লাখ লোক না খেয়ে মারা যাবে, কিন্ত একজনও সেসময় না খেয়ে মারা যায়নি। বরং রিলিফে রিলিফে অভাবীদের ভরিয়ে দেয়া হয়েছিল। তারপর কিছুদিন আগেও তারা বলেছিল দুর্ভিক্ষ হবে, কিন্ত সেটিও হচ্ছে না। অতএব তারা সবসময় মিথ্যা কথাই বলবে। সেদিকে কান না দিয়ে উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করুন।’

মিল মালিকদের লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা না করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নতুন আইন হয়েছে। আইনটা যেমনি সৎ ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই ভালো, তেমনি অসৎ ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই খারাপ। খাদ্য মজুদের বিরুদ্ধে, বিপণন ও সরবরাহের বিরুদ্ধে, যারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাবেন, ট্রাকে পরিবহন করবেন- সব বিষয়ে আইনে পরিষ্কারভাবে বলা আছে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন ২১ লাখ টন খাদ্য মজুদ রাখতে পারি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- এটাকে ৩০ সালের মধ্যে ৩০ লাখের ওপরে নিয়ে যেতে হবে। খাদ্যের কোনো প্রকল্প দাখিল করলে উনি না করেন না। আপনাদেরও তাকে খুশি রাখার ব্যবস্থাটা করতে হবে। সব দলাদলি ভেদাভেদ ভুলে যেতে হবে।’

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর