নওগাঁয় শিশুকে ধর্ষণ ও অপহরণের মামলায় এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
রায়ে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ৫০ বছর বয়সী আব্দুস সালাম জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দূর্গাপুর গ্রামের মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ জুন ঈদের দিন দুপুর ২টার দিকে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দূর্গাপুর গ্রামের আট বছরের এক শিশুকে রুটি ও সেমাই খাওয়ানোর কথা বলে একই গ্রামের আব্দুস সালাম তার ঘরে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। নাবালিকা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে শিশুর বাবা একই দিন ধামইরহাট থানায় একটি এজাহার দেন। তদন্ত শেষে একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০২২ সালে ৫ জুলাই মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে চলতি বছরের ১৪ জুন ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়।এরপর রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করে আদালত।
আসামি আগে থেকেই জেল হাজতে থাকায় তাকে সাজা পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়। জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগীকে দেয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মকবুল হোসেন। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ মামলা পরিচালনা করেন।
এদিকে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের মামলায় একই আদালতে ১৪ বছরের কারদাণ্ডের সাজা পেয়েছেন নওগাঁ সদর উপজেলার চকচাঁপাই গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে ২৫ বছরের সুমন হোসেন।
২০২২ সালের ১৩ আগস্ট ওই ছাত্রীকে সিএনজিতে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানের উদ্দেশে তিনি নিয়ে যান।
পরে ২০ আগস্ট ওই ছাত্রীর বড় ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের জিম্মায় দিয়ে দেয়।
আদালতে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করে। আগে থেকেই আসামি জেল হাজতে থাকায় সাজা পরোয়ানা মূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাকেও
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আবু জাইদ মো রফিকুল আলম।