সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে অপপ্রচার রোধ ও মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় এই নির্দেশনা দেন তিনি।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘জাতীয় পেনশন স্কিম চালু হয়েছে। আমাদের বলা হয়েছে যে ১০ হাজারের বেশি হিসাব হয়ে গেছে। আর লাখেরও বেশি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক উদ্যোগটির বিপক্ষে অনেকেই মিথ্যা প্ররোচনা বা নেতিবাচক প্রচার চালাচ্ছেন। সরকার কী করেছে, কী করতে যাচ্ছে, কীভাবে মানুষ উপকৃত হবে- বিষয়টি যাতে জনগণের কাছে উপস্থাপন করা হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
‘জনগণ যেন জেনেশুনে ও বুঝে, কোনোরকম কোনো প্ররোচনা বা উসকানি বা অপপ্রচারে প্রভাবিত না হয়, সে ক্ষেত্রে সবাইকে নজর রাখতে বলেছেন সরকার প্রধান।
মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারের বিভিন্ন কথাবার্তা যারা যেখানে বলবেন, তারা এটা জানাবেন। কেউ এটা নিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর দেবেন। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে করে এটি ব্যাপক প্রচার পায়।
বেশ কয়েক বছরের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির পর ১৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এই স্কিমে ৬০ বছর পর্যন্ত মানুষ টাকা জমা করবেন এবং এর পর থেকে আজীবন মাসে মাসে অর্থ পাবেন।
১৮ বছর থেকে শুরু করে ৫০ বছর বয়সে এসেও টাকা জমানো শুরু করা যাবে। তবে যত বেশি বছর টাকা জমা হবে, সুবিধা হবে তত বেশি।
মোট চারটি স্কিম ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে প্রবাসীদের জন্য রয়েছে প্রবাস, বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীদের জন্য সুরক্ষা আর নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য সমতা।
সবার জন্য পেনশনের এ উদ্যোগের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কয়েক দিন আগে বলেন, ‘সরকার নির্বাচনী তহবিল তৈরির ফন্দি করছে।’
১৮ আগস্ট তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ লুট করে শেষ করে দিয়েছে বাংলাদেশকে, ফোকলা বানিয়ে দিয়েছে,… কিচ্ছু নেই। আবার নতুন আরেকখান কায়দা বাইর করছে… দেখছেন। কী বলে…, পেনশন দেবে, পেনশন স্কিম।
‘মানুষের টাকা চুরি করার আরেকটা ফন্দি বাইর করছে। ওই টাকা চুরি করে ওরা নির্বাচন করতে চায়। মানুষ এবার তাদের দেবে না।’