রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে মূত্রত্যাগের অভিযোগ উঠেছে পরাজিত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম রুবেলের বিরুদ্ধে। গত রোরবার রাত ৯টার দিকে নগরীর ঝাউতলা জামে সমজিদের পাশে রাসিক ৭ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ের ফটকে তিনি মূত্রত্যাগ করেন।
সোমবার ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ সরবরাহ করে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন বর্তমান কাউন্সিলর, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মতিউর রহমান মতি। তার দাবি, ‘রোববার রাত ৮টা ১৮ মিনিটে রাসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী জহিরুল ইসলাম রুবেল এ ঘটনা ঘটান।’
গত জুনে অনুষ্ঠিত রাসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে মতিউর রহমান মতির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন জহিরুল ইসলাম রুবেল। এর আগের নির্বাচনেও তিনি বর্তমান কাউন্সিলরের কাছে পরাজিত হন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রাত ৮টা ১৮ মিনিটে রুবেল তার ব্যবহৃত লাল রঙের প্রাইভেটকার নিয়ে এসে কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে থামেন। এরপর গাড়ি থেকে নেমে কাউন্সিলরের কার্যালয়ের প্রধান ফটক ঘেঁষে দাঁড়িয়ে মূত্রত্যাগ করেন। ওই সময় কাউন্সিলরের কার্যালয়ের ফটক দিয়ে শিশু কোলে এক নারীসহ কয়েকজন ব্যক্তি বের হয়ে আসেন। ফটকের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে সবার সামনেই কাণ্ডটি ঘটান তিনি।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি বলেন, ‘পরপর দুইবার আমার সঙ্গে নির্বাচন করে পরাজিত হওয়া রুবেল সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত। সে রাতে কাউন্সিল কার্যালয়ের সামনে গাড়ি থেকে নেমে সকলের সামনেই মূল ফটকে প্রস্রাব করেছে। এটি একটি কাউন্সিলর অফিস। এখানে নিয়মিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। সিটি করপোরেশন ভাড়া দেয়। এখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি আছে। ফলে আগে এটা করপোরেশনকেই অবহিত করেছি। এটা নিয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করব।’
কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে মূত্রত্যাগের বিষয়ে জানতে সোমবার মোবাইলে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও রুবেল ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে নগরীর রাজপাড়া থানার এসআই কাজল নন্দী বলেন, ‘পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী রুবেল ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে প্রস্রাব করেছেন বলে বর্তমান কাউন্সিলর মতি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তাকে লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তিনি লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’