চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে নিখোঁজ হওয়া দেড় বছর বয়সী শিশু ইয়াছিন আরাফাতের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তার বাড়ির পাশের একটি নালা থেকে।
রোববার সন্ধ্যায় নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার রঙ্গিপাড়া এলাকায় নিখোঁজ হয় শিশুটি। খেলতে খেলতে বাড়ির পাশের উন্মুক্ত নালায় সে পড়ে যায় বলে ধারণা করছিলেন তার স্বজনরা।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা কপিল উদ্দিন সকালে শিশু ইয়াছিনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি সোমবার সকালে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সকাল ৯টার দিকে ঘরের সামনে নালা থেকে একটু দূরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও চসিকের কর্মীদের অভিযানে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ওই শিশুর।
শিশু ইয়াছিন আরাফাত রঙ্গিপাড়া এলাকার সাদ্দাম হোসেনের ছেলে। তার নিখোঁজের বিষয়টি রোববার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
তিনি তখন বলেন, ‘নালার পাশেই তাদের বাসা। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পাওয়ায় স্বজনরা ধারণা করছে শিশুটি নালায় পড়ে গেছে। আমরা সাড়ে পাঁচটায় খবর পেয়ে নালায় অনুসন্ধান চালাচ্ছি।’
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা তখন আরও বলেন, ‘ওই এলাকায় অনেক সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও নালার যে অংশে শিশুটি পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই অংশ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতার বাইরে।’
এর আগে গত ৭ আগস্ট চট্টগ্রামের নন্দীরহাট এলাকায় জলাবদ্ধ সড়কের পাশের ড্রেনে পড়ে মৃগী রোগাক্রান্ত এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়। তারও আগে ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট নগরীর মুরাদপুরে জলাবদ্ধ সড়কের পাশের উন্মুক্ত নালায় তলিয়ে নিখোঁজ হন সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদ। এখনো তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এর প্রায় এক মাস পর ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় বাসায় ফেরার পথে নালায় পড়ে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী সেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া। একই বছর নালায় পড়ে নগরীর ষোলশহর এলাকায় এক শিশু ও ২ নম্বর গেইট এলাকায় সিএনজি অটোরিকশাসহ নালায় পড়ে দুই নারীর মৃত্যু হয়।