বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার নেপথ্যে পাহাড় কাটা বালু আর আবর্জনা’

  • ডেইজী মউদুদ, চট্টগ্রাম   
  • ২৭ আগস্ট, ২০২৩ ২১:৫৭

সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘পাহাড়কাটা বালু নগরীর নালা ও নর্মদায় গিয়ে সেগুলো ভরাট করে ফেলছে। অন্যদিকে নালা-নর্দমায় নির্বিচারে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা এমনকি লেপ-তোষক, কাঁথা-বালিশও। কাজেই যতদিন সচেতনতা সৃষ্টি না হবে ততদিন এই দুর্ভোগ কমবে না।’

বৃষ্টি আর ঢলের পানিতে বার বার ডুবছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। টানা বড় ধরনের বৃষ্টি হলেই পানিবন্দি হয়ে পড়ছে নগরবাসী। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে নেয়া হচ্ছে বিপুল বাজেটের প্রকল্প। তারপরও এই ভোগান্তি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না নগরের বাসিন্দারা।

চলতি বছরেই ১২ বারের বেশি ডুবল চট্টগ্রাম। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৮৩ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টিতে নতুন করে জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে নগরবাসী।

বৃষ্টি আর ঢলের পানিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় চট্টগ্রাম অঞ্চলে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বোর্ডের আওতায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয় দশ দিন। পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী এই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা শুরু হয়েছে রোববার। কিন্তু শুরুর দিনেই আবারও ডুবেছে চট্টগ্রাম। এ অবস্থায় এখানে পরীক্ষা শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা পর।

বৃষ্টি আর ঢলে জনগণের চরম ভোগান্তির এমন বাস্তবতায় চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা কেন দূর হচ্ছে না, এর প্রতিকারই বা কোন পথে- এসব নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা আর বিচার-বিশ্লেষণ।

বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় বন্দর নগরীর বিরাট অংশ। ছবি: নিউজবাংলা

সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী এজন্য দায়ী করছেন নির্বিচারে পাহাড় কেটে বালু পরিবহন ও আবর্জনার অব্যবস্থাপনাকে। তিনি বলেছেন, ‘জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ হলো পাহাড় কাটা। পাহাড় কাটছে প্রভাবশালীরা। এদের রোধ করা না গেলে জলাবদ্ধতা বন্ধ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘পাহাড়কাটা বালু নগরীর নালা ও নর্মদায় গিয়ে সেগুলো ভরাট করে ফেলছে। অন্যদিকে নালা-নর্দমায় নির্বিচারে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা এমনকি লেপ-তোষক, কাঁথা-বালিশও। কাজেই যতদিন সচেতনতা সৃষ্টি না হবে ততদিন এই দুর্ভোগ কমবে না।’

নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ আলী বলেন, ‘নগরীর ৫৭টি খালের মাঝে সিডিএ ৩৬টির সংস্কার কাজ শুরু করেছে। এই সংস্কার প্রক্রিয়ার ফলে উঁচু এলাকার পানি দ্রুত গিয়ে যাতে খালে প্রবাহিত হতে পারে আমরা সে ব্যবস্থা রেখেছি। ফলে এখন পানি উঠলেও তা দীর্ঘ সময় আটকে থাকে না। ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানেই পানি নেমে যায়।

‘কিছু কিছু জায়গায় এখনও কাজ চলছে। কিন্তু সেখানে এমন অবস্থা যে খালের খনন প্রক্রিয়ায় আমাদের এক্সকাভেটর নেয়ারও সুযোগ থাকে না। আর নগরীর নালা-নর্দমাগুলো যদি পরিষ্কা না থাকে তাহলে পানি কিভাবে নিষ্কাষিত হবে তা আমরা জানি না। আমরা আমাদের প্রকল্পের কাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করার ব্যাপারে আশাবাদী।’

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্তব্যরত সহকারী মাহমুদুল আলম জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৮৩ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে- এই ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

এ বিভাগের আরো খবর