কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে এক গৃহবধূকে পেটে লাথি মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
শনিবার গভীর রাতে উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের পূর্ব জাওয়ার এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার দুপুরে তাড়াইল থানায় আত্মসমর্পণ করেন নিহত গৃহবধূর স্বামী শাহ আলম।
তাড়াইল থানার ওসি মোহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ৩২ বছর বয়সী রিপা আক্তার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের মাওক্কার বন্দের এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
শাহ আলম ও রিপা দম্পতির ৪ বছর বয়সী ও ২ বছর বয়সী দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে শাহ আলম ও রিপা আক্তারের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ কলহের জেরে গত শুক্রবার তাদের মধ্যে রাতে বাক-বিতণ্ডা হয়। বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে রিপা আক্তারের পেটে জোরে লাথি দেন শাহ আলম। এতে অসুস্থ হয়ে যান রিপা আক্তার।
কিন্তু স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রিপার চিকিৎসার জন্য কোথাও নিয়ে যায়ননি। পরে শনিবার রাতে মারা যান রিপা আক্তার। পুলিশ খবর পাওয়ার আগেই স্বামী শাহ আলমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
ওইদিন রাতেই শাহ আলমের বড় বোন মেহেরুন্নেছাকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
রিপা আক্তারের পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে রিপাকে হত্যা করা হয়েছে।
রিপা আক্তারের বাবা ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমার মেয়েকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত শাহ আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার রাতে আমার মেয়ের পেটে কয়েকটি লাথি দেয় তার স্বামী। আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে শাহ আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’
তাড়াইল থানার ওসি মোহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপা আক্তারের স্বামী শাহ আলম রোববার দুপুরে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’