বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের হুমকিতে কিছু আসে যায় না: তথ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৭ আগস্ট, ২০২৩ ১৯:৪৮

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যে নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেয়, তাতে কিছু আসে-যায় না। তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছিল, জনগণ বর্জন করে নাই, ৫০ শতাংশের বেশি ভোট মানুষ দিয়েছে।

বিএনপি যে নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেয়, তাতে কিছু আসে-যায় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

রোববার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আইভি রহমান পরিষদ আয়োজিত ‘গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যে নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেয়, তাতে কিছু আসে-যায় না। তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছিল, জনগণ বর্জন করে নাই, ৫০ শতাংশের বেশি ভোট মানুষ দিয়েছে।

‘নির্বাচন বর্জন করার অধিকার তাদের অবশ্যই আছে। কিন্তু যদি কেউ নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করে, এ দেশের মানুষ কঠোর হস্তে তা দমন করবে।’

সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘এটি ২০১৪ সাল নয়, এটি ২০২৩ কিম্বা ২০২৪ সাল। সুতরাং এখন ওই ২০১৩-২০১৪ সালের অরাজকতার পুণরাবৃত্তির অপচেষ্টা দেশের মানুষ করতে দেবে না।’

আইভি রহমান পরিষদের আহ্বায়ক বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার জন্য বিএনপি নেতাদেরকে দায়ী করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে মুশতাক এবং জিয়া আর ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারেক জিয়া। তারা আসলে হত্যার রাজনীতিটাই করে। হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই জিয়াউর রহমানের উত্থান এবং ক্ষমতা টিকে থাকার জন্য এই হত্যা সে অব্যাহত রেখেছিল।

‘তার বিরুদ্ধে যখনই সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে তখনই নির্বিচারে সেনাবাহিনীর অফিসার এবং জওয়ানদের হত্যা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলেন, কিন্তু জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় নাই। কারণ কেঁচো খুড়তে সাপ বের হবে সে জন্য।’

‘বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়ার নেতৃত্বে আজকের বিএনপিও সেই হত্যার রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসতে পারে নাই’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, তাদের দাবি প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাজনৈতিক স্বার্থে মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা মারে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করে, পুলিশ হত্যা করে। তারা স্কুল ঘর পুড়িয়ে দেয়, সাথে শিশুদের স্বপ্নকেও পুড়িয়ে দেয়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের স্বার্থে, সুস্থ রাজনীতির স্বার্থে মানুষ হত্যা, জিঘাংসার রাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ চিরদিনের জন্য বন্ধ হওয়া দরকার। কিন্তু যারা প্রতিহিংসা করে ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট ঘটিয়েছে, সুরঞ্জিত বাবুর সমাবেশে, শেখ হেলাল এমপির সমাবেশে বোমা হামলা চালিয়েছে, আহসান উল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়া সাহেবকে বোমা মেরে হত্যা করেছে, সেই বিএনপি-জামাত যদি রাজনীতির দৃশ্যপটে থাকে আমরা রাজনীতিকে কুলষমুক্ত করতে পারবো না।’

সমসাময়িক বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন দেখলাম তিন নেতা সিঙ্গাপুর গেছে। পত্রপত্রিকায় লিখছে- এটি কি আসলে চিকিৎসা নাকি আরো কোনো ষড়যন্ত্র করার উদ্দেশে তাদের তিন নেতা একই সঙ্গে সিঙ্গাপুর গেলেন।

‘পত্রিকায় দেখলাম যে বিএনপি অফিসে ছাত্রদল তালা লাগিয়ে দিয়েছে। কখন যে নয়াপল্টন অফিসে যুবদল তালা লাগিয়ে দিয়ে দেয়। সেটিই দেখার বিষয়। বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে কোনো লাভ হয় নাই দেখে তাদের ঘরের মধ্যে এখন অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে।’

এ সময় আইভি রহমানসহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইভি রহমান কর্মীবৎসল নেত্রী ছিলেন। সবসময় কর্মীদের খোঁজখবর রাখতেন, কর্মীদের সাথে থাকতেন, কর্মীদের সাথে বসতেন, একইসাথে তিনি অত্যন্ত সৌখিন ও সম্ভ্রান্ত মানুষও ছিলেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বাড়ির সামনে সুন্দর ফুলের বাগানটা তার হাতে গড়া।’

এ বিভাগের আরো খবর