বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিরাপত্তাকর্মীহীন ফাঁকা বাসা টার্গেট, দুই বছরে শতাধিক চুরি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৭ আগস্ট, ২০২৩ ১৫:৫৯

ডিএমপির লালবাগ বিভাগের ডিসি জাফর হোসেন বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা প্রথমে একটি বাসা রেকি করেন। বাসা ফাঁকা থাকলে সেই বাসায় টার্গেট করে চুরি করতেন। মূলত যে বাসাগুলোতে নিরাপত্তাকর্মী থাকেন না, সেগুলোই টার্গেট করতেন তারা। চোরাই ল্যাপটপ, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার বিক্রি করা হতো রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন মার্কেটে।’

যে বাসাগুলোতে নিরাপত্তাকর্মী থাকেন না, সেগুলোই টার্গেট করতেন তারা। সুযোগ বুঝে ফাঁকা বাসার গ্রিল কেটে ও তালা ভেঙে ল্যাপটপ, মোবাইল, টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করতেন।

গত দুই বছরে চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক চুরি করে।

রাজধানীর লালবাগের একটি ভবনের ফাঁকা তিনটি ফ্ল্যাটে চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে এসব তথ্য পেয়েছে পুলিশ। রাজধানীর লালবাগ থেকে শনিবার এ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. সঞ্জীব, মো. হেলাল উদ্দিন, মো. রনি, মো. রিপন, মো. তরিকুল ইসলাম, মো. শামীম ও মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে সুমন।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে রোববার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিসি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা প্রথমে একটি বাসা রেকি করেন। বাসা ফাঁকা থাকলে সেই বাসায় টার্গেট করে চুরি করতেন। মূলত যে বাসাগুলোতে নিরাপত্তাকর্মী থাকেন না, সেগুলোই টার্গেট করতেন তারা। চোরাই ল্যাপটপ, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার বিক্রি করা হতো রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন মার্কেটে।’

তিনি বলেন, ‘লালবাগের ওই ভবনটির ফাঁকা তিনটি ফ্ল্যাটে চুরির ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে চোর চক্রের চারজনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর চুরি যাওয়া একটি মোবাইলের সূত্র ধরে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

‘তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের একটি দোকানে চোরাই ল্যাপটপ কেনাবেচার কথা জানা যায়। সেখানে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া দুটি ল্যাপটপসহ চোরাই ৪৮টি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। দোকানদার সুমন গ্রেপ্তার রনির কাছ থেকে কম দামে চোরাই ল্যাপটপ কেনেন।’

ডিএমপির লালবাগ বিভাগের ডিসি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা শনির আখড়ায় একটি কারখানায় কাজ করতেন। সেখান থেকেই এভাবে চুরি করার জন্য একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হন। রাজধানীর কদমতলী, সূত্রাপুর, কলাবাগান, লালবাগ ও ওয়ারীসহ বিভিন্ন থানায় তাদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় বিভিন্ন সময় তারা গ্রেপ্তারও হয়েছেন।

ল্যাপটপ চুরির পর চক্রের সদস্যরা কারও ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও কিংবা তথ্য ফাঁস করে দিতেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে লালবাগ বিভাগের ডিসি জানান, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের দোকানটি চোরাই ল্যাপটপ কম দামে কিনত। এরপর সেগুলো ফরম্যাট দেয়ার পর উইন্ডোজ দিয়ে বিক্রি করে দিত। তারা গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস কিংবা ফাঁসের হুমকি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত না।

জব্দ ৪৮টি ল্যাপটপের মালিকানার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর পর ল্যাপটপের মালিকানার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর সঠিক মালিকের হাতে এগুলো তুলে দেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর