ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকারের ধাক্কায় মাটি বহনকারী একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে।
নদীর লঞ্চঘাট এলাকায় শনিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ট্রলারে থাকা ছয় শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করেন নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজন, তবে ছয়জনই গুরুতর আহত হন।
পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির সাগর দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় আহত ছয়জন হলেন বরগুনার আমতলী উপজেলার সাইফুল ইসলাম, জাকির মাল, তালতলী উপজেলার হাসান মোল্লা, নিজাম জোমাদ্দার, মাসুম হোসেন ও নোয়াখালীর হাতিয়া এলাকার রাসেল।
স্থানীয়দের সহায়তায় আহত শ্রমিকদের রাতেই ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত শ্রমিক হাসান মোল্লা বলেন, ‘নদীর চর থেকে মাটি তুলে ট্রলারে করে একটি ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মাঝনদীতে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ওই সময় পেছন থেকে একটি তেলের ট্যাংকার এসে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি নিমজ্জিত হয়।’
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি নাসির উদ্দীন সরকার বলেন, ‘দোষ কার ছিল, কীভাবে দুর্ঘটনা হয়েছে, সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
সুগন্ধা নদীতে বিগত ও চলতি বছরে ঘটে যাওয়া কিছু দুর্ঘটনা
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ২০২১ সালে ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে আগুন ধরে। এতে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ অনেক হতাহত হয়।
এ ঘটনার পরের বছর ২০২২ সালের ১৮ মার্চ সন্ধ্যার দিকে নলছিটির মল্লিকপুর এলাকায় সুগন্ধা নদীতে এমভি ফারহান-৭ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় বালুরবাহী বাল্কহেড ডুবে যায়।
চলতি বছরের পহেলা জুলাই শনিবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে সুগন্ধায় নোঙ্গর করা ওটি সাগর নন্দিনি-২ নামের জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যু হয়।
একই ট্যাংকারটিতে ৩ জুলাই সোমবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে তেল অপসারণ করতে গিয়ে অসাবধানতার কারণে আগুন ধরে যায়। এতে ৯ পুলিশ সদস্যসহ আহত হন ১১ জন।
সুগন্ধায় বারবার নৌ দুর্ঘটনার ঘটনায় ঝালকাঠিতে নৌ-পুলিশ ও নৌ-ফায়ার স্টেশন স্থাপনের দাবি করে আসছে এখানকার নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, এ দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।