দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে অতিথিদের সঙ্গে ছবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখা যায়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, জনগণের করের টাকা খরচ করে শেখ হাসিনা তাহলে কোথায় ছিলেন?
শনিবার বন্দর নগরীর কাজির দেউরি নুর আহম্মেদ সড়কে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত কালো পতাকা গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী কালো পতাকা হাতে নিয়ে গণমিছিলটি কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়ক থেকে শুরু হয়ে লাভলেইন, বৌদ্ধ মন্দির মোড়, চেরাগী মোড় হয়ে আন্দরকিল্লা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশ নাকি ব্রিকসের সদস্য হবে। অথচ ওখানে অতিথি হিসেবে ওখানে যারা গেছেন বা উপস্থিত ছিলেন তাদের ছবিতেও শেখ হাসিনা নেই। তাহলে তিনি কোথায় ছিলেন?
‘দক্ষিণ আফ্রিকাতে যত বাঙালি থাকেন তার ৯০ শতাংশই বিএনপি। বাকি ১০ শতাংশ হচ্ছে তারা, যাদের পরিবার এখানে দুর্নীতিবাজ সরকার থেকে লুটপাটের ভাগ পাচ্ছে। এদেরকে নিয়ে শেখ হাসিনা একটি সভা করেছেন ওখানে।
‘গেছেন কোন কাজে, করছেন কী। গেছেন ব্রিকসের সদস্যপদের জন্য। তা থেকে বঞ্চিত হয়ে ওখানে সভা করে নৌকায় ভোট দিতে বলছেন। জনগণের করের টাকা খরচ করে উনি দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছেন নৌকায় ভোট চাইতে।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। শুধু কয়েকটি জায়গায় যেতে পারবে। তার একটি হচ্ছে প্রতিদিন টাকা দিয়ে বিরানী খাইয়ে শান্তি কমিটির মিটিং করা। ‘আরেকটি হচ্ছে কিছু আওয়ামী পুলিশ আছে, তাদেরকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা দেয়া। শত বছরের পুরনো অস্ত্র দিয়ে বলে তারা নাকি অস্ত্র নিয়ে ধরা পড়েছে। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নির্ভরশীলতা।’
তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা ব্যবহার করে বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্রুতগতিতে জেলে পাঠানোর একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী বিচারক লীগ ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এরা আওয়ামী লীগের আরেকটি অঙ্গ সংগঠন।’
আমীর খসরু বলেন, ‘আগামী নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে যারা ভূমিকা পালন করবে তাদের আমেরিকার ভিসা তো বাতিল হবেই, ছেলেমেয়েও থাকতে পারবে না। চুরি করে বানানো বাড়িঘরও আমেরিকান সরকার নিয়ে নেবে। তবে বাংলাদেশের জনগণ যে স্যাংশন দেবে তা থেকে কেউ মুক্তি পাবে না।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, এ এম নাজিম উদ্দীন, আবুল হাশেম বক্কর, আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান প্রমুখ।