যে নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়, সে নির্বাচন বিএনপি চায় না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
তিনি বলেন, 'যে দেশে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা নেই, তেমন দেশ আমরা চাই না। আমরা দীর্ঘদিন সেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি, সরকার শোনেনি। আজ প্রধানমন্ত্রী নিজেই আমাদের আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শনিবার দুপুরে এক প্রতিবাদ সভায় আবদুল্লাহ আল নোমান এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ‘অনলাইন প্রবাসী বিএনপি সমর্থক পরিষদ’ এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
আলোচনায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আজকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ। এক দফা মানেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে পরিবর্তন আনা।
‘আজকে এ আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু সরকার কিছুতেই এই জনদাবি মানতে চাইবে না। কারণ তারা জনবিচ্ছিন্ন। এ সরকারকে আজ দেশ-বিদেশের সবাই ধিক্কার জানাচ্ছে।’
সরকার নিজেদের মতো সংবিধান কাটাছেঁড়া করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সরকার নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করছে। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিরোধী নেতা-কর্মীদের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে।
‘আসলে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে জনতার ঢল দেখে সরকার চোখে অন্ধকার দেখছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে, বুলেটের চেয়ে ব্যালট বেশি শক্তিশালী। জনগণ এবার তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘সারা দেশকে এ সরকার কারাগারে পরিণত করেছে। এখন শ্মশান বানাতে চায়। তাই জনতার আন্দোলন দমাতে একের পর হত্যা করে যাচ্ছে।
‘গ্রেপ্তারের নামে আটক করে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে; পাখির মতো গুলি করে মানুষ মারা হচ্ছে। আসলে এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারবে না। বললেই খুন হতে হবে; যেমনটি হয়েছিল ১৯৭২ থেকে ৭৫ সালে।’