তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে পুনর্গঠন করে অগ্রগতির যাত্রাকে যখন সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল। আর তার ছেলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছে।’
শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর বাঘার আড়ানী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শোক সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামানোর জন্য কয়েকদিন আগে ঢাকা শহরে বিএনপি সমাবেশ দিয়েছিল। সমাবেশে কিছু মানুষ দেখে তারা মনে করল, আন্দোলনের বেলুন বুঝি ফুলে গেছে। পরের দিন ঢাকার প্রবেশ মুখ অবরোধের ডাক দিল। বেলুন ফুটো ছিল, ঠুস করে ফুটে গেল। তারপর যে চিৎপটাং হয়ে পড়ে গেছে, আর উঠতে পারছে না। আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে গিয়ে বিএনপি যে নিজেরাই চিৎপটায় হয়ে পড়ে গেছে, আর উঠতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি আজকে ঢাকায় কালো পতাকা মিছিল করেছে। কিন্তু কোনো লাভ নাই। দেশের মানুষ বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে। বর্তমানে যে অবস্থা ভবিষ্যতে তাদের হামাগুড়ি কর্মসূচি দিতে হবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন ফখরুল সাহেবদের চোখে পড়ে না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বিএনপি তখন বিদেশীদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। বিদেশিরাও তাদের নালিশের কর্ণপাত করছে না। বিএনপি এখন কোমরভাঙ্গা দলে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।’
বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্জ্ব শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে শোক সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা। বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আদিবা আঞ্জুম মিতা ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার প্রমুখ।