অ্যাসিড নিক্ষেপ করে স্ত্রীর মুখ ঝলসে দেয়ার অভিযোগে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝিরচর এলাকা থেকে সুমন শিকদার নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মাদারীপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। ব্যাক্তিগত ক্ষোভ থেকে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে গত ১৬ আগস্ট সাবেক স্ত্রীর মুখ অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দেন তিনি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সুমন শিকদারকে গ্রেপ্তার করে মাদারীপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা।
শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেকার ঘুরে বেড়ানো ও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় স্বামী সুমন শিকদারকে তালাক দেন স্ত্রী সাদিয়া আক্তার। তালাক দেয়ার কিছুদিন পর অন্যত্র বিয়েও ঠিক হয়ে যায় সাদিয়ার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাবেক স্বামী সুমন শিকদার। এর জের ধরেই সাবেক স্ত্রীর মুখ অ্যাসিডে ঝলসে দেন তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আসামি সুমন সাবেক স্ত্রী সাদিয়ার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে ১৬ আগস্ট রাত ১০টার দিকে সুমন সাদিয়াকে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন। অ্যাসিডে সাদিয়ার মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে ঝলসে যায়। স্বজনরা তাকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় পরেরদিন সকালে ভুক্তভোগী সাদিয়া আক্তারের বোন তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। ঘটনার পর পর গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত সুমন শিকদার। ঘটনার পর তদন্তে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে শরীয়তপুরের জাজিরার মাঝিরচর হতে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও তার সঙ্গে আরও কয়েকজন সহযোগী ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন সুমন। তাদের ধরতে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’