বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবির আলাওল হলে ফের তালা, প্রাধ্যক্ষের বহিষ্কার দাবি

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ২৫ আগস্ট, ২০২৩ ১০:১৬

সমাজতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র তানভীর আলম বলেন, ‘পুরো হলে একটি মাত্র ফিল্টার, তাও বেশিরভাগ সময় নষ্ট থাকে। তিন শর বেশি শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র একটি রাউটার। এতে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায় না। এ ছাড়াও নানা সমস্যা সমাধানে হল প্রাধ্যক্ষ বারবার বিভিন্ন দাবি জানানো হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ আলাওল হলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে অভিযোগ করে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

হলের ফটকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তালা দেয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে হলে নানামুখী সমস্যা চলছে। সমস্যার বিষয়ে বারবার হল কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি। তাই তারা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ চান।

প্রাধ্যক্ষের দাবি, কয়েকজন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করায় এ আন্দোলন করছেন তারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে ২ নম্বর গেইট এলাকার সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। ওই সময় তারা হলের সামনে প্রধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

পরে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে রাত পৌনে ৯টার দিকে তালা খুলে দেয়া হয়। আন্দোলনকারীরা ওই সময় ৯ দফা দাবি লিখিত দেন।

সমাজতত্ত্ব বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তানভীর আলম বলেন, ‘পুরো হলে একটি মাত্র ফিল্টার, তাও বেশিরভাগ সময় নষ্ট থাকে। তিন শর বেশি শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র একটি রাউটার। এতে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায় না।

‘হলে খেলাধুলার সরঞ্জাম নেই। মাঠ দখল করে রাখে বহিরাগতরা। হল প্রাধ্যক্ষকে বারবার এসব সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন দাবি জানানো হলেও প্রতিকার হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এ প্রাধ্যক্ষ ছাত্রবান্ধন নন। দাবি জানাতে গেলে উল্টো বিভিন্ন সময় বহিষ্কারেরও হুমকি দেন তিনি। তাই বর্তমান প্রাধ্যক্ষর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছে।’

একই কথা বলেন আন্দোলনরত অন্য শিক্ষার্থীরাও।

এ বিষয়ে আলাওল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফরিদুল আলম বলেন, ‘এখানে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের একটা বিষয় আছে। জানুয়ারি মাসে আমরা কয়েকজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছি। এখানে কয়েকটা ছেলে সাজা মওকুফের জন্য আবেদন করে, যারা এই হলে থাকে।

‘আমি ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য। কমিটি তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজা পুনর্বিবেচনা করে ৫০ শতাংশ মওকুফ করে। এখন তারা পুরো সাজা মওকুফ চাচ্ছে। আজও সব বিবেচনা করে তাদের শাস্তির বিষয়ে বহিষ্কার আদেশ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্যই তারা আন্দোলন করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে তাদের দাবির ভিত্তিতে সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে গেছে। এখন কোনো সমস্যা নেই। আর আমার পদের কোনো প্রায়োজন নেই, তবে অন্যায়ের কাছে মাথানত করব না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে হলে তালা দিয়েছে। আমরা তাদের দাবি লিখে নিয়েছি। পরে তারা তালা খুলে দেয়।’

এর আগে গত ১৭ আগস্ট চার দফা দাবিতে হলটির অফিস কক্ষে তালা দেন আবাসিক ছাত্ররা। ওই সময় হলের চার কর্মকর্তাকে কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

চবি শাখা ছাত্রলীগের বিজয় দলের অনুসারীরা বৃহস্পতিবার বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন।

এ বিভাগের আরো খবর