বাংলাদেশকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধুকে চিরতরে বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র এখনও চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘আগস্ট ট্র্যাজেডি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধুকে চিরতরে বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের শনাক্তে অত্যন্ত ক্ষমতাসম্পন্ন উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠনের আইন প্রস্তুত, ড্রাফট প্রস্তুত আছে।
‘এটি জনগণের কাছে দলিল হিসেবে রেখে যাব। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেয়ার জন্য সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে জয়ী করার মধ্য দিয়েই তা সম্ভব।’
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্ব ও সদস্য সচিব ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহম্মদ আলী সিকদার, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সাবেক পরিচালক উত্তম বড়ুয়া, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আফিজুর রহমান, জাতীয় গ্রন্থাগারের পরিচালক মিনার মনসুর।
অন্য এক বক্তা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় দুইজন নোবেল শান্তি বিজয়ী আছেন। তারা নিজ দেশ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মানবাধিকার নিয়ে কখনও কথা বলেন না।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেল হত্যা মামলা ও ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে আপসকামিতার ঘৃণ্য চক্রান্ত আজও দৃশ্যমান।