ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দক্ষিণ কালিবাড়ি মোড় থেকে নবীনগরের কৃষ্ণনগর পর্যন্ত সড়কটি নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই নগরবাসীর। প্রতি বছর এই সড়কের দক্ষিণ পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে আমিনপুর সেতু পর্যন্ত গত দুই বছর যাবত খানাখন্দে ভরে যায়। বেহাল সড়কে ভোগান্তি হওয়ায় এবার ব্যানার সাটিয়ে কর্তৃপক্ষকে অভিশাপ দিয়েছে নগরবাসী।
মঙ্গলবার অজ্ঞাত কে বা কারা এই সড়কের কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ব্যানার টাঙ্গিয়েছে। বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহরে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ব্যানারগুলোতে লেখা রয়েছে- ‘যাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এই রাস্তার বেহাল দশা, জনদূর্ভোগ, তাদের উপর এবং তাদের পরিবারের উপর আল্লাহর গজব নাযিল হোক, আমিন’।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা শহরের দক্ষিণ কালিবাড়ি মোড় থেকে নবীনগরের কৃষ্ণনগর পর্যন্ত সড়কটি জেলা পরিষদের অধীনস্ত ছিল। এই সড়কের দক্ষিণ পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে আমিনপুর সেতু পর্যন্ত গত দুই বছর ধরে খানাখন্দে ভরে যায়। সড়কটি মেরামত করতে দক্ষিণ পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের গাছতলা সেতু পর্যন্ত জেলা পরিষদ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কাছে হস্তান্তর করে। গত ৬-৭ মাস আগে সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি মেরামতের কাজ পায় হাসান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু গত তিন মাস ধরে দক্ষিণ পৈরতলা রেলগেইট থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে সড়কটি দিয়ে চলাচলে পরিবহন, যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
শহরের সরকারপাড়া এলাকার কয়েকজন বলেন, ‘এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। বেহাল দশার কারণে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সবাইকে। দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজটি ফেলে রেখেছে। প্রতিবাদ জানাতে তাই সড়কের পাশে খুটিতে ব্যানার টাঙ্গিয়েছে কে বা কারা।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খায়রুল হাসান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ব্যাংককে থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হান্নান জানান, ব্যানারের মধ্যে লেখাটি ফেসবুকের মাধ্যমে আমার নজরে এসেছে। ঠিকাদার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ব্যাংককে চিকিৎসাধীন। দ্রুত সড়কটি মেরামত সম্পন্ন করা হবে।