বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এস আলমের অর্থপাচারের অভিযোগ: আপিলে আটকে গেল অনুসন্ধান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ২০:৪৩

বিষয়টি পরবর্তী শুনানির জন্য ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দিয়েছে চেম্বার আদালত।

এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরসহ বিদেশে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতিবস্থা জারি করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

বুধবার আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।

বিষয়টি পরবর্তী শুনানির জন্য ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দিয়েছে চেম্বার আদালত।

আদালতে এস আলমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি, আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

আদেশের বিষয়ে আইনজীবী আহসানুল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এস আলম গ্রুপের অর্থ বিদেশে পাঠানোর অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের আদেশের উপর স্টাটাসকো (স্থিতিবস্থা) বজায় রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, সাবজেক্ট ম্যাটারের ওপর স্থিতিবস্থা থাকবে।’

এর ফলে এ বিষয়ে অনুসন্ধান, বক্তব্য প্রদান কিছুই করা যাবে না। যেমন আছে, তেমনই থাকবে বলে জানান এ আইনজীবী।

এস আলমের অর্থ পাচার নিয়ে গত ৪ আগস্ট ডেইলি স্টার পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেই প্রতিবেদনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন।

পরে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এস আলম গ্রুপের অর্থ বিদেশে পাঠানোর অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে এই অর্থ পাচার ঠেকাতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

এ আদেশ স্থগিত চেয়ে মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের আপিল বিভাগে আবেদন করেন। সেটির শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত আজ এ আদেশ দেন।

এস আলম নিয়ে পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো অনুমতি তিনি নেননি।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের বাইরে বিনিয়োগের জন্য এ পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিলেও চট্টগ্রামভিত্তিক বিশাল এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম সেই তালিকায় নেই। কাগজপত্রে আরও দেখা যায়, গত এক দশকে সিঙ্গাপুরে এস আলম অন্তত দুটি হোটেল, দুটি বাড়ি, একটি বাণিজ্যিক স্পেস এবং অন্যান্য যে সম্পদ কিনেছেন এবং সেখানেও বিভিন্ন উপায়ে কাগজপত্র থেকে তার নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশ থেকে ৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে বিনিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে।

তবে, এই পরিমাণ অর্থ ২০০৯ সালের পর সিঙ্গাপুরে এস আলমের কেবল দুটি হোটেল ও একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনা ৪১১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দশ ভাগের এক ভাগ মাত্র।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নথিতে আরও দেখা যায়, এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বৈধ উপায়ে সিঙ্গাপুরে ১ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে, যার মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানও এস আলমের মালিকানাধীন নয়।

এ বিভাগের আরো খবর