বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাঁদপুরে ছেলে হত্যায় মায়ের মৃত্যুদণ্ড

  • প্রতিনিধি, চাঁদপুর   
  • ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:০১

বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১) ফারহানা ইয়াসমিন এই মামলার রায় দেন।

চাঁদপুরের হাইমচরে ছেলেকে হত্যার ঘটনায় এক মায়ের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে। এ ছাড় আরেকজনও একই দণ্ডের পাশাপাশি আরও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ২৫ বছর বয়সী ছেলে আরিফ হোসেনকে হত্যার মামলার আসামি ওই মা। বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১) ফারহানা ইয়াসমিন এই মামলার রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন ৪৩ বছর বয়সী মা খুকি বেগম ও ২৮ বছর বয়সী জয়নাল গাজী। যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিরা হলেন ২৭ বছর বয়সী ইউছুফ মোল্লা ও ২৬ বছর বয়সী মাহবুব মোল্লা।

আসামিদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও তা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ছেলে আরিফ হোসেন তার মা খুকি বেগমের সঙ্গে জয়নাল গাজীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতেন। এর জেরে মা ও ছেলের সম্পর্কের অবনতি হয়। ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর পরিকল্পিতভাবে মা খুকি বেগম নিজ ঘরে ‘প্রেমিক’ জয়নাল গাজী ও তার সহযোগীদের দিয়ে আরিফকে ঘুমন্ত অবস্থায় হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে ও দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। ছেলের মৃত্যু হয়েছে মনে করে তাকে ঘরের মেঝেতে ফেলে চলে যান তারা।

পরদিন আরিফের স্ত্রী আরিফকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা নেয়ার পথে মতলব ফেরিঘাটে পার হওয়ার পর সকাল ৯টার দিকে আরিফের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় শাশুড়ি খুকি বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামি করে হাইমচর থানায় হত্যা মামলা করেন আরিফের স্ত্রী। মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয় হাইমচর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর মিয়াকে। তিনি মামলাটি এক বছর তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার সরকার পক্ষের আইজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) বদিউজ্জামান কিরন বলেন, ‘এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। মায়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জন্য এ ঘটনা ঘটে। মামলাটি দীর্ঘ ৭ বছরের অধিক সময় চলাকালীন আদালত ২০ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

‘স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেয় আদালত। আসামিদের মধ্যে ইউছুফ মোল্লা প্রথম থেকে পলাতক। বাকিরা জামিনে থাকলেও রায়ের সময়ে সব আসামির অনুপস্থিতিতে রায় হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর