বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিয়ম ভেঙে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে ফার্মাসিস্টের সেলফি

  • প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম   
  • ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ১০:১৬

কেন্দ্রসচিব ও কলেজের অধ্যক্ষ নাসিমুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ‘আমার কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারকে ডেকে আনা হয়। উপসহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম এসে চিকিৎসা দিয়ে চলে যান, কিন্তু কে পরীক্ষা কক্ষে সেলফি তুলেছে, তা আমার জানা নেই, তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে ছবি তোলা নিষেধ।’ 

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নাগেশ্বরী মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের একটি কক্ষে এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে মেডিক্যাল টিমের এক সদস্য পরীক্ষার্থীদের নিয়ে ছবি ও সেলফি তোলেন।

ওই মেডিক্যাল সদস্য সেলফিসহ আরও ছয়টি ছবি নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করলে তা দ্রুতই ভাইরাল হয়।

মেডিক্যাল টিমের সদস্যের নাম হাফিজুর রহমান। তিনি নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট ও বহির্বিভাগ ইনচার্জ।

তিনি তার ফেসবুক প্রোফাইলে ছবিগুলো পোস্ট করে লিখেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের মেডিক্যাল টিমের আজ কিছু সময়।’

পরীক্ষার্থীরা জানায়, ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষায় মঙ্গলবার ওই কেন্দ্রের ৫ নম্বর কক্ষে একজন পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে কেন্দ্রসচিব মেডিক্যাল টিমকে খবর দেন। ওই সময় উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসার মাইদুল ইসলাম ও ফার্মাসিস্ট হাফিজুর রহমান চিকিৎসা দিতে কেন্দ্রের ওই কক্ষে যান।

তারা আরও জানান, উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসার মাইদুল ইসলাম শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দিলেও ফার্মাসিস্ট হাফিজুর রহমান নিজের মোবাইল ফোনে সেলফি ও ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক পরীক্ষার্থী বলে, ‘তিনি (ফার্মাসিস্ট) বিভিন্ন আঙ্গিকে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি ছবি তোলেন। এতে আমাদের পরীক্ষার মনোযোগ নষ্ট হয়ে পড়ে।’

পরীক্ষা কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রে দায়িত্বরত ব্যক্তি ও পরিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন বা কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে পারেন না।

উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসার মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ওই সময় ফার্মাসিস্ট হাফিজুর রহমান আমার সঙ্গে গিয়েছিল, কিন্তু সে কখন সেলফি ও ছবি তুলেছে আমার জানা নেই।’

ফার্মাসিস্ট হাফিজুর রহমান পরীক্ষাকক্ষে সেলফি তোলা ও ফেসবুকে পোস্ট করার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশটা ভালো লেগেছিল। তাই সেলফি তুলেছি।

‘কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে তোলা হয়নি। কাজটি আমার ভুল হয়েছে। আমি ইতোমধ্যে ফেসবুক থেকে ছবি ডিলিট করেছি।’

কেন্দ্রসচিব ও কলেজের অধ্যক্ষ নাসিমুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ‘আমার কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারকে ডেকে আনা হয়। উপসহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম এসে চিকিৎসা দিয়ে চলে যান, কিন্তু কে পরীক্ষাকক্ষে সেলফি তুলেছে, তা আমার জানা নেই, তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে ছবি তোলা নিষেধ।’

নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা জাহান বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার নিয়ম নেই। সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর