বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিতাসের গ্যাস লাইনে লিকেজ, আগুন আতঙ্কে মুন্সীগঞ্জবাসী

  • প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ   
  • ২২ আগস্ট, ২০২৩ ২৩:৫৭

সড়কের নিচ দিয়ে যাওয়া তিতাস গ্যাসের সংযোগ লাইন ফুটো হয়ে যাওয়ায় এলাকায় আগুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গ্যাস লিকেজের কয়েটি জায়গায় কেউ কেউ আগুন ও পানি দিয়ে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

তিতাসের গ্যাসের লাইনে লিকেজ হওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা। বৃষ্টি এলেই শহরের মানিকপুর, দোওভোগ, পুরনো বাসস্ট্যান্ড, ইদ্রাকপুর, মধ্য কোটগাওঁ, পঞ্চসার, নতুনগাঁও, নয়াগাঁও, হাতিমারাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা যায় গ্যাসের বুদবুদ। মাসের পর মাস এ এলাকাগুলোতে গ্যাসের লিকেজ থাকলেও এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ উদাসীন বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, সড়কের নিচ দিয়ে যাওয়া তিতাস গ্যাসের সংযোগ লাইন ফুটো হয়ে যাওয়ায় এলাকায় আগুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গ্যাস লিকেজের কয়েটি জায়গায় কেউ কেউ আগুন ও পানি দিয়ে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

এ ছাড়াও শহরের মানিকপুর এলাকা থেকে সুপার মার্কেট পর্যন্ত সঞ্চালন পাইপ লাইনের অসংখ্য স্থানে লিকেজ থেকে গ্যাসের উদগীরণ হচ্ছে। এতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে কার্পেটিং উঠে গিয়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ সড়কে চলাচল করা সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে।

দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা মালেকুন মাকসুদ বিপুল বলেন, ‘দেওভোগ বাজার সংলগ্ন রাস্তায় ভয়াবহ গ্যাস লিকেজ হয়েছে। কে বা কারা আবার সেই লিকেজে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় কল দিলেও তারা ফোন ধরেনি। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে ফয়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখানে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।’

মানিকপুর এলাকার বাসিন্দা রোবেল বলেন, ‘আমার দোকান থেকে শুরু করে সামনের একাধিক স্থানে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস লিকেজ হয়ে আছে। বৃষ্টি এলেই বোঝা যায় কী ভয়াবহ অবস্থা। এই গ্যাসের কারণে এই রাস্তাটিও নষ্ট হয়ে গেল।’

আব্দুর নুর তুষার নামের একজন রাত ৯টায় তার নিজের ফেসবুক পোস্টে জানান, পূর্ব দেওভোগ বাজার সংলগ্ন মেইন রাস্তার নিচে গ্যাস লিকেজ হচ্ছে অনেক দিন ধরে। দিন দিন এই লিকেজের অবস্থা খারাপ হচ্ছে। কয়েকবার অভিযোগ করার পরও তাদের (তিতাস কর্তৃপক্ষ) থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে সবার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মুন্সীগঞ্জ নাগরিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুজন হায়দার জনি বলেন, ‘তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি একটি উদাসীন প্রতিষ্ঠান। তাদের উদাসীনতার কাছে জিম্মি নাগরিকরা। তিতাস শুধু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো গ্রাহক থেকে টাকা আদায় করে। গ্রাহক সেবা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। তিতাসের ত্রুটিপূর্ণ সঞ্চালন লাইনের কারণে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার প্রবেশপথের সড়কের যে ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতিপূরণের জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করি। এ কারণে বড় কোনো দুর্ঘটনা হলে সেই দায় তিতাস কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।’

তিতাস গ্যাসের মুন্সীগঞ্জ কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মেছবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে আমরা হাতিমারা এলাকায় কাজ করছি। পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় কাজ করব। এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের সমস্যার সমাধান করেছি। রাস্তার এই গ্যাস লিকেজ থেকে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা নেই।’

এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রতিবেদককে পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘গ্যাস রাষ্ট্রীয় সম্পদ। কেউ গ্যাস লিকেজে পানি দেয়, কেই আগুন দেয়, আপনারা দেখেন না?’

এ বিভাগের আরো খবর