মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া তারেক রহমানকে বাংলাদেশের জনগণ নেতা বানাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ভবনে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী সাংগঠনিক জেলাগুলোর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে ২ সেপ্টেম্বর। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি জনসমুদ্রে রূপ নেবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতার লিগ্যাসি। আর তার কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের অর্থের মুক্তির সংগ্রামের লিগ্যাসি। বাংলাদেশে এই দুটি লিগ্যাসি টিকে আছে দাপটের সঙ্গে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন পতাকা উড়বে, ততদিন এ দেশে দুটি মানুষের মৃত্যু হবে না। তাদের একজন বঙ্গবন্ধু, আরেকজন শেখ হাসিনা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কঠিন ঐক্য নিয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী, সাম্প্রদায়িকতা রুখে দেবে। এ দেশ পাকিস্তানের বন্ধুদের জন্য নয়, এ দেশ সাম্প্রদায়িকদের জন্য নয়, এ দেশ অর্থ পাচারকারীদের নয়। মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া নেতা তারেককে বাংলাদেশের জনগণ নেতা বানাবে না।’
আওয়ামী লীগের এই দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন যে তাদের ২২ জন নেতাকর্মীকে নাকি আমরা হত্যা করেছি। ফখরুল সাহেব, আপনাদের ২২ জন; আর আমাদের ২২ হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছেন।
‘আপনারা গণতন্ত্রের কথা বলেন। সেদিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? ২০০১ সালে অস্বাভাবিক সরকার গদিতে বসেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার শুরু করেছিল। ২১ আগস্টের ঘটনা নিয়ে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ওনাকে কে মারতে যাবে? উনি ভ্যানেটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন।
‘নাটক তো আপনারা করেছিলেন। জজ মিয়ার নাটক। কাঁদতে কাঁদতে আমাদের চোখের পানি শেষ হয়ে গেছে।’
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মো. ফারুক খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপ-প্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রমুখ।