বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, পুলিশ রাজনৈতিক বক্তব্য দেয় না। আইন ও বিধি রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা এলাকায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন হবিগঞ্জ থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবের চিকিৎসা সংক্রান্ত খোঁজখবর নেয়া শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইজিপি।
‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন। আর এই বক্তব্যকে ঘিরে বিএনপি নেতারা বিভিন্ন অভিযোগ করছেন। এমন বক্তব্য সমীচীন কি না’- জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে সকল সদস্য আছেন, আমার দৃষ্টিতে, কারও রাজনৈতিক বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়নি৷ আমি আইন ও বিধি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করি। আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ আসবে সেটি মোকাবেল করতে হবে, সেটা আমার আইনি দায়িত্ব। এই দায়িত্ব আমার ওপর অর্পণ করা হয়েছে, এই দায়িত্ব পালনে আমি বাধ্য। আইন প্রয়োগ করতে আমাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, আইন পড়ানো হয়েছে এবং আইন প্রয়োগে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া হয়। জনগণের জান-মাল রক্ষায় যা যা করা দরকার সেটাই করা হবে।’
সম্প্রতি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কিছু অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছে, ‘পুলিশ পুরাতন ও অকেজো অস্ত্র দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে।’
এ অভিযোগের উত্তরে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘এমন অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা অভিযানে তাদের কাছে যে অস্ত্র পেয়েছি সেগুলো দিয়েই আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অমূলক।’
এ দিকে বিদেশে অবস্থানরত এক প্রবাসীর ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণে তার মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন কি না- জানতে চাইলে চৌধুরী মামুন বলেন, ‘এ বিষয়টি আমি পরিষ্কার করতে চাই। আমরা গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছি, খুলনার জামায়াতে ইসলামীর একজন নায়েবে আমিরের বাড়িতে নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করতে একটি ষড়যন্ত্র চলছে। অনেকে জড়ো হয়েছে- এমন তথ্যে আমরা অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করি। তাদের মধ্যে একজন নারী ও দু’জন পুরুষ। পরে আমরা জানতে পেরেছি ওই নারীর ছেলে প্রবাসী, তিনি ফেসবুকে সাঈদীকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে। ‘আমরা তথ্য পেয়ে আমরা অভিযান চালাই। সেখানে আমরা ডিজিটাল ডিভাইস, বই পেয়েছি, মোবাইল পেয়েছি৷ এর আলোকে মামলা দেয়া হয়েছে৷ সেখানে কোনোভাবেই কাউকে উদ্দেশ্য করে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’