মুন্সীগঞ্জে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় মামাতো বোনের প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়েছেন তারই ফুফাতো বোন।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে শহরের সরকারি হরগঙ্গা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় বহিষ্কার করা হয়েছে মূল পরীক্ষার্থীকে।
মূল পরীক্ষার্থী ২০ বছর বয়সী জেসিয়া আক্তার মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার রন্ছ হাওলাদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং তার বদলে পরীক্ষা দেয়া শিক্ষার্থী হলেন একই এলাকার ২২ বছর বয়সী সাদিয়া আক্তার।
ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালে প্রক্সি দিতে এসে ফুপাতো বোন সাদিয়া আক্তারকে হাতেনাতে আটক করেন পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রফেসর ড. মো. নুরুল ইসলাম। এ ঘটনায় তিনি মূল পরীক্ষার্থী জেসিয়া আক্তারকে বহিষ্কার করেছেন।
নুরুল ইসলাম জানান, শহরের সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জেসিয়া আক্তার হচ্ছেন মূল পরীক্ষার্থী। সরকারি হরগঙ্গা কলেজ কেন্দ্রে তাদের পরীক্ষা। ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালে বোরকা পরা এক পরীক্ষার্থীকে সন্দেহ হয়।
তিনি জানান, পরে তার বোরকা খুলে দেখলে প্রবেশ পত্রের ছবির সঙ্গে অমিল পাওয়া যায়। এতে তাকে আটক করা হয়। তার নাম সাদিয়া আক্তার। সে একজন ভুয়া পরীক্ষার্থী। আটক সাদিয়া আক্তারকে আইন-শৃংঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। আটক সাদিয়া আক্তার জানিয়েছেন মূল পরীক্ষার্থী জেসিয়া আক্তার ও সে সম্পর্কে মামাতো-ফুপাতো বোন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফা খান বলেন, ‘পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে একজন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুয়া পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’