অপরাধ দেখে-জেনে-শুনে চুপ থাকাও একটি অপরাধ বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। আদালত বলছে, অর্থপাচারে যুক্ত লোকদের মানসিক রোগ রয়েছে।
বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তর নিয়ে এস আলম গ্রুপের বিষয়ে হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত জারি করা রুলে বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
এ আবেদন গ্রহণ করার বিষয়ে শুনানির সময় সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করে। পরে আদালত এখনই পক্ষভুক্ত না করে আবেদনটি নথিভুক্ত করে রাখে।
শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছে, ‘অপরাধ দেখে-জেনে-শুনে চুপ থাকাও অপরাধ। দুর্নীতি-অর্থপাচারের মত বিষয়ে চুপ করে থাকাটা অন্যায়। জেনে-শুনে আমরা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না।
‘দেশ-জাতির স্বার্থে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে। তবে অন্যায়ভাবে কাউকে হেয়ো করার জন্য কিছু করা হলে তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না।’
আদালত বলেছে, ‘দেশ ও জাতির স্বার্থে আমাদের দায়িত্ব আওয়াজ তোলা, আমরা যা করি আল্লাহ ওপর বিশ্বাস রেখে না হলে কেয়ামতের দিন জবাব দিতে হবে।’
দুর্নীতি যারা করে তারা কি সোনার মানুষ, এসব মানুষ দিয়ে সোনার বাংলা হবে? এমন প্রশ্ন করে আদালত।
একপর্যায়ে হাইকোর্ট বলে, ‘ইদানিং দেখা যাচ্ছে কোনো রায় কারো বিপক্ষে গেলেই কোর্টকে অ্যাটাক করে মন্তব্য করা হয়। বলা হয় ফরমায়েশি রায়। এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর।’
আদালতে এস আলম গ্রুপের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। অপরদিকে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
গত ৪ আগস্ট ডেইলি স্টার পত্রিকায় এস আলমের অর্থ পাচার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনলে হাইকোর্ট অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেয়।