বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং তার ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকীতে সোমবার আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা ও স্মরণসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নাকি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করছে...কী অদ্ভুত! দিবালোকে কেমন প্রহসনের নাটক! পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড কে ঘটিয়েছে? বঙ্গবন্ধুর গোটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার টার্গেট কারা করেছিল? এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। তার রাজনৈতিক ও ক্ষমতার উচ্চাভিলাষ পূর্ণ করতে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করেছেন। ‘আর হাওয়া ভবন থেকে তৎকালীন যুবরাজ তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা শুরু নির্দেশ দিয়েছিল। এখন কাপরুষের মতো বিদেশে পলাতক। তিনি অর্থ পাচারকারী, ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। সেদিন টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। তাহলে বলুন, আমরা কি জিয়া পরিবার নিশ্চিহ্ন করার কাজ করি?’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি দল বিএনপি ও তার দোসররা আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে তাদের লড়াই থেকে এখনও সরে যায়নি। বাংলাদেশের পতাকাকে উড্ডীন রাখতে এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রাখতে বিএনপিসহ তাদের দোসরদের প্রতিরোধ করতে হবে। রাজপথের আন্দোলনের এদের পরাজিত করতে হবে। নির্বাচনী লড়াইয়েও তাদের পরাজিত করতে হবে। প্রতিহত করতে হবে। ‘এই দেশ তারা চায় না। তাদের দেশ পাকিস্তান, তাদের দেশ আফগানিস্তান। এ দেশ তাদের নয়। তাদের কাছে আমাদের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিরাপদ নয়।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করি না। হত্যার রাজনীতি করি না; বরং শিকার হই। এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় খালেদা জিয়ার জেল হয়েছে। শেখ হাসিনার উদারতায় তিনি এখন বাইরে আছেন।’ সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।