কক্সবাজারের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকায় মোহাম্মদ হোসেনের বাড়িতে ডাকাতি ও তাকে হত্যার ঘটনার প্রায় দুই যুগ পর প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার ৪৬ বছর বয়সী মনজুর হোসেন রুমালিয়ারছড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি প্রাণ হারানো মোহাম্মদ হোসেনের জামাতা।
ডাকাতি ও হত্যার ঘটনায় গত ২০ জুলাই মনজুর হোসেনসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। এর পর রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে রোববার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার।
তিনি বলেন, ‘১৯৯৯ সালে দেশে ফিরে কক্সবাজার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকার বসবাস শুরু করেন মোহাম্মদ হোসেন। ২০০০ সালের ১৫ জুন গভীর রাতে হোসেনের জামাতা মনজুর হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে।
‘মনজুর সে সময় মোহাম্মদ হোসেনকে চিনে ফেলায় শ্বশুরকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে ডাকাতদল। ওই সময় তারা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যান।’
তিনি জানান, ওই ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় হত্যাসহ ডাকাতির মামলা করেন নিহতের স্ত্রী ছবুরা খাতুন। প্রায় দুই যুগ পর গত ২০ জুলাই সেই মামলায় মনজুর হোসেনসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। রায় ঘোষণার পর জামাতাকে আটক করেছে র্যাব।
তাপস কর্মকার বলেন, ‘মামলাটির রায় ঘোষণার পর আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র্যাব। একপর্যায়ে মামলার মূল আসামি মনজুরের অবস্থান চিহ্নিত করে রোববার রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে আটক করা হয় তাকে। ‘তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে বিভিন্ন ছদ্মনামে মিরপুরের দক্ষিণ শেওড়াপাড়ায় বসবাস করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ঘটনায় জড়িত ও মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বলে স্বীকার করেছেন।’আটক আসামিকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।