বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিচারকের পদত্যাগ দাবি আদালত অবমাননা: সুপ্রিম কোর্ট বার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ আগস্ট, ২০২৩ ১৬:০২

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল বলেন, ‘মাননীয় বিচারপতিগণ সম্পর্কে কটূক্তি করে জাতীয় আইনজীবী ফোরাম ও তাদের নেতৃত্ব গর্হিত কাজ করেছেন ও সুস্পষ্টভাবে আদালত অবমাননা করেছেন।’

দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের দুই বিচারকের পদত্যাগ দাবি করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা আদালত অবমাননা করেছেন বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (বার)।

বারের ব্যানারে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেন সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় বিচারপতিগণ সম্পর্কে কটূক্তি করে জাতীয় আইনজীবী ফোরাম ও তাদের নেতৃত্ব গর্হিত কাজ করেছেন ও সুস্পষ্টভাবে আদালত অবমাননা করেছেন।’

বিএনপির আইনজীবীদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী সম্পর্কে কটূক্তি করেন।’

১৫ আগস্ট শোক দিবসের আলোচনা সভায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বিচারকদের ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ ও বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী বিদেশি শক্তির মাথা ঘামানো নিয়ে বক্তব্য দেন। এরপর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সংবাদ সম্মেলন করে দুই বিচারকের শপথভঙ্গ হয়েছে উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগ দাবি করেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে রোববার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন বারের সভাপতি ও সম্পাদক।

বিএনপির আইনজীবীরা বিচারপতিদের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করেছেন মন্তব্য করে আবদুন নূর দুলাল বলেন, ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ অর্থ দলীয় রাজনীতিবিদ নয়। আমাদের সংবিধান একটি রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক দলিল। দেশের সর্বোচ্চ আইন। সম্মানিত বিচারপতিরা সে সংবিধানের রক্ষক, সে সংবিধান চর্চা করেন। গণতন্ত্রের ওপর ভারডিক্ট (রায়) দেন। আইনের শাসনের ওপর ভার্ডিক্ট দেন, সামরিক জান্তার কর্মকাণ্ডের ওপর ভারডিক্ট দেন।

‘বিচারপতিরা প্রতিনিয়ত রাজনীতি করেন। শপথের মধ্যে থেকেও রাজনীতি করেন। শপথের বাইরে গিয়ে নয়, রাজনীতি করতে রাজনৈতিক দল করা লাগে না।’

তিনি বলেন, ‘বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ প্রসঙ্গের অবতারণা করে কোনো প্রকার ভুল করেননি, বরং দেশ ও জাতির প্রতি তার বুদ্ধিমত্তা, দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ ও মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।’

ওই সময় তিনি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতার সমালোচনা করে বলেন, ‘দেশে কত নির্বাচন হয়। সে সকল নির্বাচন নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রসমূহের কোনো মাথাব্যথা নেই। সকল মাথাব্যথা কেবল বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে, মানবাধিকার নিয়ে।’

আব্দুন নূর দুলাল আরও বলেন, ‘১৯৭০ সালে গণতন্ত্রে জিতেছিল বাংলাদেশ। তখন পাকিস্তান ক্ষমতা হস্তান্তর করে নাই। আমাদের ওপর জঘন্যতম বর্বর হামলা করেছিল। সেদিন গণতন্ত্র ছিল বাংলাদেশের পক্ষে, মানবাধিকারও ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। সেদিন কী ভূমিকা ছিল তাদের?

‘আজ তারা বিনা অজুহাতে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের নাম করে মায়াকান্না কাঁদছে; হুমকিধমকি দিচ্ছে।’

বিদেশি শক্তি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছে পৃথিবীতে এমন একটাও নজির নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

কিছু কিছু রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য সুযোগসন্ধানী বহির্বিশ্বকে সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এ আইনজীবী।

এ বিভাগের আরো খবর