একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেয়ায় লালমনিরহাটে ছাত্রলীগের ১২ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
এ ছাড়াও সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হুমাইয়ূন কবির হিরুকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশ ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ স্বাক্ষরিত দুইটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম সুমন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডীমারী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ভূঁইয়া, গোতামারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোনাব্বেরুল হক মিশেল, টংভাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন সাগর, বড়খাতা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মানুনুর রশীদ লিওন খান, সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি আমিনুর ইসলাম রানা, মোগলহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, মোগলহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবিন, লালমনিরহাট পৌরসভা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শ্রাবন হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা ইসমাঈল হোসেন আদর, পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি সহিদ ও পাটগ্রাম পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইবনে রুশদক।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশ বলেন, ‘সংগঠনের নীতি আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকা, তথা যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর মৃত্যুর বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে বিভিন্ন পদধারী ১২ জন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
‘এ ছাড়াও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফের সঙ্গে প্রকাশ্যে এসব বিষয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ায় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হুমায়ূন কবির হিরুকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’
সাময়িক বহিস্কার হওয়া নেতাদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান ছাত্রলীগের সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন ছাত্রলীগের নেতা চাই না যারা যুদ্ধপরাধের অপরাধে অভিযুক্ত সাঈদীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে পোস্ট দেয়।’