বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নয়: জি এম কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৯ আগস্ট, ২০২৩ ২৩:৪৫

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশে বিভাজন সৃষ্টি করে সুবিধাভোগী গোষ্ঠী দিয়ে মানুষের ভোটাধিকারসহ সব অধিকার হরণ করা হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার থাকলে দেশে একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্র আসতে পারতো না।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, ‘দেশে বিভাজন সৃষ্টি করে সুবিধাভোগী গোষ্ঠী দিয়ে মানুষের ভোটাধিকারসহ সব অধিকার হরণ করা হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার থাকলে দেশে একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্র আসতে পারতো না।’

শনিবার লক্ষ্মীপুরে জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সংসদে বিরোধীদলীয় এই উপনেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। মানুষের কথা বলার অধিকার, সমালোচনার অধিকার এবং গণমাধ্যমের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ভোটাধিকার নিশ্চিত হলেই সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আওয়ামী লীগ জনগণের দল হলে তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।’

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে কেউ জিতবে, কেউ হারবে এটাই স্বাভাবিক। জনগণের জন্য সত্যিকারের উন্নয়ন করলে আপনাদের ভয়ের কী আছে? সবাই মিলে একটি নির্বাচনী পদ্ধতি তৈরি করা জরুরি, যার মাধ্যমে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব, যেন মানুষের সব অধিকার নিশ্চিত হয়।’

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘জাতীয় পার্টির ওপর অনেক বিপদ আসবে। রাজনীতিতে টিকতে হলে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বেড়ালের মতো হাজার বছর বেঁচে থাকার চেয়ে সিংহের মতো একদিন বেঁচে থাকা উত্তম।’

জিএম কাদের বলেন, ‘বিভিন্ন আইন করে মানুষের কথা বলার অধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতামত দিয়ে অনেকেই বিপদে পড়েছেন। আবার সাধারণ মানুষের ধারণা ইলেকশনের নামে সিলেকশন হচ্ছে।

‘ভোট নিয়ে মানুষের মধ্যে দ্বিধা আছে। সাধারণ মানুষ মনে করে, ভোট দিলেও সরকার পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। অনেকে বলেন, আমরা ভোট দিতে পারি না, ভোটকেন্দ্র দখল করে রাখা হয়।’

তিনি বলেন, ‘ভোটের অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ, তাদের সমর্থক ও সরকারের কিছু লোক বাছাই করে সুবিধাভোগী একটি শ্রেণি তৈরি করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে, মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা বিভাজন সৃষ্টি করে সুবিধাভোগী গোষ্ঠী দিয়ে মানুষের ভোটাধিকারসহ সব অধিকার হরণ করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ও ফলাফল ঘোষণার জায়গায় দলীয় লোকজন বসিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা করায়ত্ত করা হয়েছে। বিশাল পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে মানুষের অধিকার ও জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে সরকার।’

জি এম কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নাকি বলেছেন যে আগামী নির্বাচন মুক্তিযুদ্ধের পর আরেকটি যুদ্ধ। আগামী নির্বাচন নাকি হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও বিপক্ষে। আসলেই আগামী নির্বাচন হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও বিপক্ষে। আমরা বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নয়। আওয়ামী লীগ বৈষম্য এবং দেশের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। এই বৈষম্য দূর করতে অনেক বছর লাগবে। কেউ পাঁচ হাজার টাকা আয় করতে পারছে না, আর কেউ পাঁচ শ কোটি টাকা আয় করছে।’

২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) জরিপের তথ্য তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, ‘তিন হাজার ৬৭৯টি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর। রিপোর্ট বলা হয়েছে, এই হামলায় জড়িত সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িকতামুক্ত দেশ গড়তে পারছে না।’

লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোহাম্মাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জেলা শাখার সদস্য সচিব‌ মাহমুদুর রহমান মাহমুদ।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু‌ হোসেন বাবলা, কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, এমরান হোসেন মিয়া, মোহাম্মদ নোমান, আহসান আদেলুর রহমান, বেলাল হোসেন প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর