বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভুয়া ডাক্তারের ডিগ্রির বহর!

  • প্রতিনিধি, নোয়াখালী   
  • ১৯ আগস্ট, ২০২৩ ২২:৫৮

শনিবার ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের সময় চেম্বারে সহকারী অধ্যাপক (বিএস এমএমইউ), এমবিবিএস, এফসিপিএস, ডিডিভি স্পেশাল ট্রেনিং ইন ডার্মাটোলজি (থাইল্যান্ড) ডিগ্রিধারী ডা. মো. এনামুল হক পরিচয়ে রোগী দেখছিলেন অমর চন্দ্র শীল।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অমর শীল নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ হলেও নিজেকে পিজি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখে আসছিলেন তিনি।

৩৫ বছর বয়সী ওই চিকিৎসককে কারাদণ্ডের পাশাপাশি চৌমুহনী পৌরসভার মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

শনিবার দুপুরে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফাতের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতে এ আদেশ দেয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত অমর শীল চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার উলিপুর গ্রামের মৃত গিরিন্দ্র শীলের ছেলে।

সূত্র জানায়, দুপুরে চৌমুহনী পৌরসভার পাবলিক হল এলাকার মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় হাসপাতালটির নিচ তলায় চেম্বারে সহকারী অধ্যাপক (বিএস এমএমইউ), এমবিবিএস, এফসিপিএস, ডিডিভি স্পেশাল ট্রেনিং ইন ডার্মাটোলজি (থাইল্যান্ড) ডিগ্রিধারী ডা. মো. এনামুল হক পরিচয়ে রোগী দেখছিলেন অমর চন্দ্র শীল। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে অমর স্বীকার করে ডা. মো. এনামুল হক পরিচয়ে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জেলা শহর মাইজদীর ট্রাস্ট ওয়ান হসপিটালে চেম্বার করতেন। চারমাস ধরে এই হাসপাতালে রোগী দেখছেন।

২০০৩ সালে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে থেকে এসএসসি ও ২০০৫ সালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন অমর চন্দ্র শীল। এরপর একটি প্যারামেডিক্যাল স্কুলে দুই বছরের কোর্স করেন বলে জানান তিনি। কিন্তু এইচএসসি ও প্যারামেডিক্যাল কোর্সের কোনো সনদ তিনি দেখাতে পারেননি।

ডা. এনামুল হক পরিচয়ে তিনি প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন রোগী দেখতেন। রোগী প্রতি ৭ শ’ টাকা করে ফি নিতেন। পরবর্তীতে তথ্য-প্রমাণ ও তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অমর শীলকে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অভিযান পরিচালনায় বেগমগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস ও বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর