ভারত-ভীতিতে বিএনপির রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় শনিবার এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এতদিন আমেরিকার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বিএনপি নেতাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে গেছে। কখন নিষেধাজ্ঞা আসবে, ভিসানীতিতে সরকার পড়বে। আর এখন ভারত-ভীতিতে তাদের নেতাদের রাতে কতবার যে জাগরণ হয়, আর কতবার যে ঘুম ভেঙ্গে যায়!’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে ক্ষমতায় আসবে না। উন্নয়ন ও কাজ দেখিয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইবে।’
কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে বিএনপি। আর মানবিক কারণে তার জন্য যা দরকার সবই করছে শেখ হাসিনার সরকার।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত ১৪ বছরে উন্নয়ন ও অর্জনে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। আমরা গায়ের জোরে ক্ষমতায় নেই। এবং গায়ের জোরে ক্ষমতায় আসব না।তোহলে পদ্মাসেতু কেন করলাম? মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ে। একদিনে শত সেতু। উন্নয়নে চেহারা পাল্টে গেছে। গ্রাম শহর হয়ে গেছে। আমরা কাজ করে ভোট চাই। মিথ্যাচার, বিষোদগার, গলাবাজি করে আমরা ভোট চাই না। আমাদের সব কাজ দৃশ্যমান।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি যতটানা উদ্বীগ্ন তার চেয়ে বেশি রাজনীতি করছে। নোংরা রাজনীতি করছে। বেগম জিয়া যে বাসায় নিজ ঘরে বাস করছেন এটা করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে রায় আদালতের। আইনের কাঠামোর বাইরে আমারা তো কিছু করতে পারি না। বেগম জিয়া মরার আগেই মির্জা ফখরুলরা তাকে মেরে ফেলেছেন কয়েকবার। মানবিক কারণে বেগম জিয়ার জন্য যা করা দরকার আমরা তা করছি।’
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে না ভারত।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভারত একটা বার্তা দিয়েছে- অভিন্ন যাত্রায় আমরা ভুকৌশলগত কারণে বাংলাদেশকে হারাতে পারি না। এটা তাদের মধ্যকার বিষয়।এখানে বাংলাদেশের ওপর হস্তক্ষেপ কোথায়? ৭৫ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর ভারত কি আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল? ২০০১ আমাদের জোর করে তত্তাবধায়ক নামে অস্বাভাবিক সরকার করে আমাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখন কি ভারত হস্তক্ষেপ করেছিল? আমাদের দেশে নির্বাচন হবে আমাদের নিয়মে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডাক্তার শরফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনসহ চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ।