ঝালকাঠির রাজাপুরে পাওনা ৪০০ টাকা চাওয়ায় তিনজনকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার পাকাপোল নামক বাজারে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ফেরদৌস রাজাপুর উপজেলার বাসিন্দা। অভিযুক্ত নাঈম হাওলাদার গালুয়া গ্রামে শ্রমিকের কাজ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় ফেরদৌসকে বাঁচাতে গেলে আল রাব্বী ও ফয়সাল নামের আরও দুজনকে ছুরিকাঘাত করেন নাঈম ।
তাদের ভাষ্য, আহত সবাই কলেজের ছাত্র। তারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদেও রয়েছেন। এ ঘটনার পর আহত তিনজনের সহপাঠী ও ছাত্রলীগের কর্মীরা অভিযুক্ত নাঈমের বাড়িতে গিয়ে নাঈমকে মারধর করেন।
নাঈম জানায়, তার মা, স্ত্রী ও মামীকেও ফেরদৌসের লোকজন পেটান।
এ ঘটনায় দুই পক্ষই রাজাপুর থানায় অভিযোগ করেছে।
রাজাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফিরোজ বলেন, ‘দুই পক্ষের দুটি অভিযোগ পেয়েছি, তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি শনিবার সমাধান করে দেবেন বলে জানতে পেরেছি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকাপোল বাজারে ফেরদৌস এসে নাঈমের কাছে পাওনা ৪০০ টাকা চান। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এর একপর্যায়ে নাঈম দৌড়ে গিয়ে একটি ছুরি নিয়ে এসে ফেরদৌস, আল রাব্বী ও ফয়সালের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। পরে স্থানীয়রা আহত তিনজনকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আহত ফেরদৌস বলেন, ‘নাঈম গত ২০ দিন আগে একটি বাটন মোবাইল ফোন সেট বন্ধক রেখে আমার কাছ থেকে ৪০০ টাকা ধার নেয়। তিন দিনের মধ্যে টাকা দেয়ার কথা থাকলেও ১৫ দিনেও তা দেয়নি।
‘আমিও ওর ফোন ফেরত দিতে চাইছি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই টাকা ফেরত চাওয়ায় তখন ছুরি দিয়ে আমাদের তিনজনকে আঘাত করে পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নাঈম থানায় আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তার বসতঘরে হামলা করি নাই।’