বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্কুলছাত্রীদের গালাগাল করে টিকটক ভিডিও, ফেসবুকে ক্ষোভ

  • প্রতিনিধি, কুমিল্লা   
  • ১৯ আগস্ট, ২০২৩ ১৫:২১

টিকটকারদের এমন ভিডিও দেখে ফেসবুকে মন্তব্যের ঘরে ‘নাজমুস সাকিব’ নামের একজন লিখেন, ‘এদেরকে না থামালে আমরা একটি অসার প্রজন্ম পাব।’

স্কুল ক্যাম্পাসের ভেতরে কয়েকজন ছাত্রী দাঁড়িয়ে আছে। দেয়ালের বাইরে থেকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করে ভিডিও করছে কিছু কিশোর। টিকটকে প্রচারিত সেই ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার গোমতা গ্রামের গোমতা ইসহাকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেছেন, ছাত্রীদের গালিগালাজ ও ভিডিও ধারণকারীদের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানো হবে। আর ইউএনও বলেছেন, এ বিষয়ে নেয়া হবে যথাযথ ব্যবস্থা।

যা আছে ভিডিওতে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুধবার বিকেলে থেকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। ১৯ সেকেন্ডের ভিডিওটি ‘বুঝো নাই ব্যাপারটা’ নামে একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করে এক কিশোর।

এতে দেখা যায়, স্কুলের টিফিনের সময় ছাত্রীরা ক্লাস থেকে বারান্দায় বের হয়ে আসে। ওই সময় পরিকল্পিতভাবে একদল কিশোর ছাত্রীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ভিডিও ধারণ করে।

প্রকাশের পরপরই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি।

স্থানীয়রা জানায়, এক কিশোর তার দলবল নিয়ে টিকটক ভিডিও তৈরি করে। তাদের বয়স ১৮ বছরের কম। ‘বুঝো নাই ব্যাপারটা’ নামের ফেসবুক পেজে সংঘবদ্ধ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টিকটক ভিডিও তৈরি করে আসছে।

স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানায়, কিশোরদের দলটি স্কুলের আশপাশে ঘুরে মেয়েদের উত্যক্ত করে। তাদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।

ফেসবুকে ক্ষোভ

টিকটকারদের এমন ভিডিও দেখে ফেসবুকে মন্তব্যের ঘরে ‘নাজমুস সাকিব’ নামের একজন লিখেন, ‘এদেরকে না থামালে আমরা একটি অসার প্রজন্ম পাব।’

আশিক রহমান লিখেন, ‘সন্তানদের এমন আচরণের জন্য অভিভাবকসহ সমাজের সবাই দায়ী। এখনই সময় এদেরকে প্রতিরোধ করার।’

ফারুক আহমেদ নামের এক ব্যক্তি মন্তব্যে লিখেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরে দেখছি, এই ছেলেটা (ভিডিও করা কিশোর) টিকটকের নাম দিয়ে অশালীন কথা বলেছে। প্রশাসন যেন তাকেসহ তার পুরো টিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’

আনজুম সুলতানা লিখেন, ‘আমাদের রুচিবোধ কত নিম্ন পর্যায়ে আছে, তা এখন দেখছি। সামনে অন্ধকার।’

স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ইউএনওর ভাষ্য

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুন্সি সাইফ আহম্মদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনাটি শুনি ও ভিডিও দেখে বিদ্যালয়ের সভাপতিকে বিষয়টি অবহিত করি। রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।’

মুরাদনগরের ইউএনও আলাউদ্দীন ভূঁইয়া জনী বলেন, ‘সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। বখাটেদের শনাক্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এ বিভাগের আরো খবর