বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারতের কোনো বক্তব্য প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে ডেঙ্গু সচেতনতা কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের কাছে উল্লিখিত মন্তব্য করেন তিনি।
নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা ‘হাসিনাকে দুর্বল করলে ক্ষতি সবার, বার্তা আমেরিকাকে’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ‘নয়াদিল্লির বক্তব্য, ঢাকায় সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হোক এটা ওয়াশিংটনের মতো ভারতও চায়, কিন্তু যেভাবে হাসিনার সরকারকে অস্থির করার জন্য আমেরিকার তরফ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে, তা প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক নয়।’
কাদের বলেন, ‘আঞ্চলিক রাজনীতির বিষয়ে এই ভূখণ্ডে (বাংলাদেশ) ভারত এবং আমেরিকার অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। তাই ভারত আমেরিকাকে কিছু বললে তারা তাদের স্বার্থে বলেছে। এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ নয়।’
ওই ডেঙ্গু ও বিএনপিকে দেশের সাধারণ শত্রু আখ্যা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু এবং বিএনপি দেশের অভিন্ন শত্রু। দেশের গণতন্ত্র এবং মানবতাকে রক্ষা করতে বিএনপি থেকে সাবধান থাকতে হবে জনগণকে।
‘বিএনপি তাকিয়ে আছে আমেরিকার দিকে। আর আওয়ামী লীগ তাকিয়ে আছে দেশের জনগণের দিকে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে দেশের জনগণ ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবার রাষ্ট্র পরিচালনায় আসবে।’
আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই দাবি করে কাদের বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ২০ বছরের দণ্ডিত আসামি। তিনি কাপুরুষোচিত রাজনীতি করছেন। তাই তার নেতৃত্বে কোনো আন্দোলন সফল হবে না।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবন ডেঙ্গুতে নিরাপদ নয়। আর বিএনপির হাতে দেশের গণতন্ত্র, নিরাপত্তা নিরাপদ নয়। আজকে দেশের প্রধান দুই অভিন্ন শত্রু ডেঙ্গুর মতো ভয়ংকর বিএনপিকেও প্রতিরোধ করতে হবে।’
বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডেঙ্গুবিরোধী কর্মসূচিকে দেশব্যাপী জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিনসহ অনেকে।