বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা

  • প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ   
  • ১৯ আগস্ট, ২০২৩ ০৯:৩০

জেলা শহরের ঐতিহাসিক মসজিদটিতে আটটি দানবাক্স আছে। প্রতি তিন মাস পর বাক্সগুলো খোলা হয়। এবার খোলা হয়েছে ৩ মাস ১৩ দিন পর।

কিশোরগঞ্জের আলোচিত পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।

জেলা শহরের ঐতিহাসিক মসজিদটিতে আটটি দানবাক্স আছে। প্রতি তিন মাস পর বাক্সগুলো খোলা হয়। এবার খোলা হয়েছে ৩ মাস ১৩ দিন পর।

করোনাভাইরাস মহামারিও বিগত রমজান মাসে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল চার মাস বিরতি নিয়ে।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ শনিবার দানবাক্স খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে সকালে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আটটি দানবাক্স খুলে রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ বলা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ.টি.এম ফরহাদ চৌধুরী, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর শেখ জাবের আহমেদ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাশিতা-তুল ইসলাম, তানিয়া আক্তার, নাবিলা ফেরদৌস, মাহমুদা বেগম সাথী, ফাতেমা-তুজ-জোহরা, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, মাদ্রাসার ১১২ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।’

দানবাক্সগুলো খোলার পর গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকে এসেছেন অনেক দূর থেকে।

এর আগে রমজানের কারণে চার মাস পর গত ৬ মে দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ১৯টি বস্তায় তখন রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গিয়েছিল।

টাকা-পয়সার পাশাপাশি পাগলা মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লোকজন।

মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, করোনা সংক্রমণের শুরুতে মসজিদে মুসল্লিদের চলাচল ও নারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকলেও দান অব্যাহত ছিল।

তিনি আরও জানান, পাগলা মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ টাকা থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেয়া হয়। অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তাও করা হয়। তা ছাড়া সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদেরও এ দানের টাকা থেকে সহায়তা করা হয়েছে।

মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান জানান, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করছে এই মসজিদে। যারা দান করতে আসেন, তারা বলে থাকেন, এখানে দান করার পর নাকি তাদের আশা পূরণ হয়েছে। তাই এখানে দান করেন তারা।

জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দার তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদ গড়ে ওঠে। বর্তমানে সেটি সম্প্রসারিত হয়ে ৩ একর ৮৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর