বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শুল্ক বৃদ্ধি, সিলেটের সব বন্দর দিয়ে চুনাপাথর আমদানি বন্ধ

  • প্রতিবেদক, সিলেট   
  • ১৮ আগস্ট, ২০২৩ ১০:৫৭

কাস্টমসের সিলেট অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার সোলাইমান হোসেন বলেন, ‘আগের ৮৪ টাকার পরিবর্তে এখন ডলারের মূল্য ১০৯ টাকা। ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনায় অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু বাড়ানো হয়েছে।’

সিলেটের সব স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আনা বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানিকারকরা।

আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রতিবাদ ও বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার থেকে তারা আমদানি বন্ধ রেখেছেন।

সিলেটের বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো দিয়ে মূলত বড় পাথর (বোল্ডার) ও চুনাপাথর আমদানি করা হয়। কয়েকটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি হয়। পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেয়ায় অচল হয়ে পড়েছে স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো।

তামাবিল স্থলবন্দরে বৃহস্পতিবার দুপুরে দেখা যায়, নেই কোনো ব্যস্ততা। ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক দেশে আসছে না। ফলে স্থবির হয়ে আছে সিলেটের প্রধান এ স্থলবন্দর।

তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির ওপর অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিক টনে দুই ডলার বৃদ্ধি করেছে।

‘এ বাড়তি শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে আমদানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই সিলেটের সব কয়টি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনপাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।’

তিনি জানান, শুল্ক বাড়ানো নিয়ে কয়েক দিন ধরেই স্থলবন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমদানিকারকদের তর্কবিতর্ক চলছে। ব্যবসায়ীরা বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানালেও কাস্টমস কর্মকর্তারা তাতে রাজি হননি। আলোচনায় সমাধান না হওয়ায় আমদানি বন্ধ তরে দেন তারা।

সুনামগঞ্জের ছাতক লাইমস্টোন ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সুনামগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক সেলিম চৌধুরী বলেন, ‘এমনিতেই ব্যবসার অবস্থা খারাপ। তার ওপর টনপ্রতি দুই ডলার করে ডিউটি বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

‘কাস্টমসের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে চুনাপাথরের ডিউটি (ইম্পোর্ট অ্যাসেসমেন্ট রেট) সাড়ে ১১ ডলার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১৩ ডলার ও বড় পাথরের (বোল্ডার) রেট ১১ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৩ ডলার করার কথা জানানো হয়। এ কারণে ট্রাকপ্রতি ব্যয় ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা বেড়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘এ অবস্থায় আমরা বুধবার থেকে সিলেট বিভাগের সব শুল্ক স্টেশন দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বোল্ডার ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রেখেছি।’

বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমদানি বন্ধ থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

কাস্টমসের সিলেট অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার সোলাইমান হোসেন বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আমদানি বন্ধ করা হয়নি। শুল্কও আমরা বাড়াইনি। এনবিআর থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

ডলারের বিপরীতে টাকার অবনমনের কারণেই শুল্ক বেড়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আগের ৮৪ টাকার পরিবর্তে এখন ডলারের মূল্য ১০৯ টাকা। ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বেড়েছে।

‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনায় অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু বাড়ানো হয়েছে, তবে আমদানিকারকরা চাইলে এ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।’

সিলেট বিভাগে তামাবিল স্থলবন্দর ছাড়া আরও ১২টি শুল্ক স্টেশন রয়েছে। এগুলো দিয়ে মূলত চুনাপাথর ও বোল্ডার আমদানি করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর