সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মনির হোসেন ওরফে মনি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এ ঘটনায় আসামি ১৯ বছর বয়সী আব্দুল কাদের ও ২৫ বছর বয়সী মাহবুব হাসান রিমন নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা দুজনেই শাহজাদপুরের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআইয়ের সিরাজগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত বছরের ১০ নভেম্বর কলেজ ছাত্র মনির হোসেন ওরফে মনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। নিখোঁজের ২ দিন পর ভোরে শাহজাদপুর থানার রুপপুর নতুনপাড়া গ্রামে করতোয়া নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা মো. হারুন-অর-রশিদ বাদী হয়ে ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা করেন।
মরদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও মামলার তদন্ত শেষে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ভুল রিপোর্ট আদালতে দাখিল করলে বাদী বিজ্ঞ আদালতে নারাজির আবেদন করেন। বাদীর নারাজির প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে আদেশ দেন।
গোয়েন্দা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি আব্দুল কাদের ও মাহবুব হাসান রিমন গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মনির হোসেন আসামি আব্দুল কাদের, রিমন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২ জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তারা সবাই প্রায়ই একসঙ্গে গাঁজা সেবন করতেন।
২০২২ সালের ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় আসামি রিমন, আব্দুল কাদের, মনির এবং অজ্ঞাতনামা বন্ধুরা থানার ঘাট ব্রিজের পাশে নদীর ধারে একসঙ্গে বসে গাঁজা সেবন করেন। গাঁজা সেবনের সময় আসামিরা ভুক্তভোগীকে গাঁজা কেনার টাকা দিতে বললে তিনি তা দিতে না পারায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আসামি আব্দুল কাদের, রিমন ও অন্য ২ জন মিলে মনিরের মুখে, বুকে ও মাথায় কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করেন। আসামিদের মারপিটে ভিকটিম মাটিতে পড়ে গিয়ে নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে সবাইলে মিলে তাকে নৌকায় তুলে মাঝ নদীতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতের প্রেরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।