বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশের স্বাধীনতাকে ব্যর্থ হতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ আগস্ট, ২০২৩ ১৮:৫৭

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র লক্ষ্য ছিল দেশবাসীকে উন্নত জীবন উপহার দেয়া, যার জন্য তিনি তার পুরো জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমরা শোকের মাসে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছি। জনগণকে সুন্দর ও উন্নত জীবন দেয়ার আমাদের প্রচেষ্টা দেখে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতার আত্মা শান্তি পাবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষকে আরও ভালো ও উন্নত জীবন দিতে ব্যর্থ হলে বঙ্গবন্ধুর দেয়া দেশের স্বাধীনতা বৃথা যাবে। আমরা দেশের স্বাধীনতাকে ব্যর্থ হতে দেব না। এটি ব্যর্থ হয়নি, ব্যর্থ হবে না।’

বৃহস্পতিবার সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র: বাসস

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘সবার জন্য আরও ভালো ও উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হলো। এই ব্যবস্থার লক্ষ্য হলো দেশের ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের এর আওতায় নিয়ে আসা। প্রাথমিকভাবে ছয়টির মধ্যে চারটি স্কিম- প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী উদ্বোধন করা হয়েছে। অন্য দু’টি পরে চালু করা হবে।

‘আমার এবং আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা, বিশ্বাস এবং ভালোবাসাই দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার চালিকাশক্তি। আগামী দিনেও আমার প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশের জনগণকে অনুরোধ করছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র লক্ষ্য ছিল দেশবাসীকে একটি উন্নত জীবন উপহার দেয়া, যার জন্য তিনি তার পুরো জীবন উৎসর্গ করেছেন।

‘আমরা শোকের মাসে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছি। জনগণকে একটি সুন্দর ও উন্নত জীবন দেয়ার আমাদের প্রচেষ্টা দেখে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতার আত্মা শান্তি পাবে।’

প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রত্যেকের জীবনকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য জনগণের কাছে দোয়া চান।

তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের স্বাধীনতাকে ব্যর্থ হতে দেব না, এটি ব্যর্থ হবে না এবং এটি ব্যর্থ হয়নি। তার (বঙ্গবন্ধুর) আদর্শ অনুসরণ করে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা বজায় রেখে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের দিকে অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

সরকার প্রধান গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও রংপুরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেলও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইভেন্টে যুক্ত হন।

বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, স্ব-কর্মে নিযুক্ত লোকদের জন্য সুরক্ষা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাসী এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সমতা স্কিম প্রযোজ্য হবে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মূল লক্ষ্য দেশের ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে এর আওতায় আনা এবং তারা তাদের ৬০ বছর বয়স হওয়ার পর আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন।

পেনশন ব্যবস্থার বয়সসীমা প্রাথমিকভাবে ৫০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে তা সংশোধন করা হয়। ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও টানা ১০ বছর ধরে কিস্তি পরিশোধের পর পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।

অনুষ্ঠানে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর