একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের আরও ১১ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিস্কৃতরা হলেন সরাইল উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আমির খন্দকার, কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন শাখা যুগ্ম আহবায়ক সাহরাফ ইসলাম, সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাহাগ নিয়ামুল, কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক দিপু মিয়া, কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ, কুটি ইউনিযয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের জাহিদুল ইসলাম হাছিব, কসবার বিনাউটি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড শাখার সদস্য সৈকত আলী, কসবার খাড়েরা ইউনিয়ন শাখা ৬ নং ওয়ার্ড শাখার আসিফুল আলম, সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন শাখার সদস্য আজহার উদ্দিন, নবীনগর উফজেলার বড়াইল ইউনিয়ন শাখার কর্মী মো. মমিন সরকার, আখাউড়া উপজেলার মাগড়া ইউনিয়ন শাখার কর্মী আমিন সুমন।
এর আগে এদিন বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের ৬ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়। সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়, শোক প্রকাশ করে সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপ করেছেন ওই নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় একদিনে ছাত্রলীগের মোট ১৭ জনকে বহিস্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মৃত্যুর পর ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৬ নেতা-কর্মীকে বহিস্কার করা হয়েছে। তবে শুধু ৬ জন নয়, খতিয়ে দেখা গেছো আরও ১১ জন সাঈদীর মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে স্টেটাস দিয়েছে।
‘এ কারণে একইদিন রাতে ওই ১১ জনকেও বহিস্কার করা হয়েছে সংগঠন থেকে। ভবিষ্যতে যারাই ছাত্রলীগের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’