সুনামগঞ্জের আদালত প্রাঙ্গণে ছুরিকাঘাতে খুনের মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার গলাখাল গ্রামের মৃত মহিবুর রহমান লাল মিয়ার ছেলে মো. ফয়েজ আহমেদ। একইসঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তার ভাই মো. ইসরাইল আলী মারজানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বাকি তিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- জগন্নাথপুর উপজেলার গলাখাল গ্রামের মো. আফরোশ মিয়ার দুই ছেলে মো. সাজিদ মিয়া ও মো. সেবুল মিয়া এবং একই এলাকার ইসমাইল হোসেন বাদশার ছেলে মো. এহসানুল করিম শাহান।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে দু’জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন।
তিনি বলেন, ‘আদালতের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।’ এসময় পলাতক আসামিদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের অনুরোধ জানান তিনি।
আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ২১ জুলাই মামলার কাজে আদালতে আসেন খুন হওয়া জগন্নাথপুরের মিজানুর হোসেন ওরফে খোকন মিয়া। ওই মামলার আসামি ফয়েজ আহমদ, সাজিদ মিয়া, সেবুল মিয়া ও এহসানুল করিম শাহান সেদিন আদালতে হাজির হয়ে জামিন পান।
জামিনে মুক্ত হয়ে আদালত প্রাঙ্গণে থাকা অবস্থায়ই মিজানুর হোসেন ওরফে খোকন মিয়ার ওপর আক্রমণ করেন তারা। তাকে কিল-ঘুষি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত খোকনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফটিক মিয়া সুনামগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে ফয়েজ, সাজিদ, সেবুল, এহসানুল ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনার পর বুধবার আদালত ওই মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও বাকি চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে আদেশ দেয়।