বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই মামলায় সাঈদীর ছেলেসহ আসামি ৫১৭০ জন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৬ আগস্ট, ২০২৩ ২০:৩১

মঙ্গলবার রাতে পুলিশ শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করে। এতে সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের ওপর হামলা, মারধর ও গাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে জামায়াত-শিবিরের হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করে। এসব মামলায় সাঈদীর ছেলেসহ ২০ জনের নাম উল্লেখসহ ৫ হাজার ১৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলাগুলোতে সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের ওপর হামলা, মারধর ও গাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

শাহবাগ থানায় হওয়া মামলায় আসামি করা হয়েছে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাইদীকে। মামলা দুটিতে আসামি হিসেবে মোট ২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে জামায়াত-শিবিরের ৫ হাজার ১৫০ জনকে।

সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

শাহবাগ থানায় হওয়া মামলার আসামিরা হলেন- হামিদুর রহমান আজাদ, সাইদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী, ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, জামায়াত ঢাকা মহানগর শাখার সহকারী সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা প্রায় ৫ হাজার জন।

মঙ্গলবার বায়তুল মুকাররমে জামায়াত-শিবির কর্মীদের বিক্ষোভ। ফাইল ছবি

পল্টন মডেল থানায় দায়ের হওয়া মামলার আসামিরা হলেন- ইমতিয়াজ চৌধুরী, সজল মোল্লা, সাহাবাজ হোসেন, মনির হোসেন, তারেক হাসান, মনজুর, উজ্জ্বল মিয়া, মতিউর রহমান, আলামিন, মো. আলী, সাইফুল ইসলাম, মহিউদ্দিন, জামিনুর রহমান, সাইফুল ইসলাম (২), ইউসুফ ফকির, রহমাতুল্লাহ ও জামায়াত-শিবিরের অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জন।

মামলার বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএসএমএমইউ ও শাহবাগ মোড়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের ৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বেআইনিভাবে পরিস্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠিসোটা, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা প্রদানের পর আক্রমণ করে সাধারণ ও গুরুতর জখম এবং অগ্নিসংযোগ করার অপরাধ করা হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা।

পল্টন মডেল থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর গায়েবি জানাজা ও দোয়া করাকে কেন্দ্র করে বায়তুল মুকাররম মসজিদের উত্তর গেটে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।

‘ঘটনার সময় আটক ১৬ নেতাকর্মীকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় রোববার অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুকে ব্যথা অনুভব করায় কারাগার কর্তৃপক্ষ ওইদিন সাঈদীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে তাকে বিএসএমএমইউ-তে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

সাঈদীর মৃত্যুর পর জামায়াত-শিবিরের হাজার হাজার নেতাকর্মী শাহবাগে জড়ো হয়ে সাঈদীর জানাজা ঢাকায় করার দাবি তুলে পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগসহ ভয়াবহ তাণ্ডব চালায়। ভাঙচুর করে সাঈদীর লাশ বহনের জন্য আনা অ্যাম্বুলেন্সও।

এখানেই শেষ নয়, সোমবার বাদ জোহর জাতীয় শোক দিবসের দোয়া চলাকালে সাঈদীর জন্যও দোয়া করার দাবি তুলে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদেও তাণ্ডব চালানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর