চট্টগ্রামে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় কমপক্ষে ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
বিকেল ৪টার দিকে নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকায় আলমাস সিনেমা হলের সামনে প্রথম সংঘর্ষ বাধে। পরবর্তীতে কাজীর দেউড়ি ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশের অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকেল থেকে জামায়াত ও শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে নগরীর ওয়াসার মোড় এলাকায় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের আশপাশে জড়ো হতে থাকে। তারা বিনা উস্কানিতেই পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
চট্টগ্রামে মঙ্গলবার জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষকালে অ্যাকশনে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
সংঘর্ষে জড়িত থাকার দায়ে জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরের অন্তত ৩০ নেতাকর্মীকে আটকের কথা জানিয়েছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) থেকেই পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। তাদের প্রতিরোধ করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাদের হামলায় আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’
তবে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিকেল ৫টায় জানাজা হওয়ার কথা ছিল। প্রশাসনের অনুরোধে জানাজা স্থগিত করা হয়। তবে জানাজা স্থগিত করার পরও কিছু সাঈদী ভক্ত সেখানে জড়ো হয়। এ সময় পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমাদের অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। আমাদের ১২ থেকে ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর কথা জানান প্রতিষ্ঠানটির কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান মিশকাত আহমেদ চৌধুরী।