একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে দাফন করা হয়েছে।
পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জোহরবাদ পিরোজপুর শহরে অবস্থিত ‘আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন’ মাঠে জানাজার নামাজ হয়। গণমানু্ষের অস্বাভাবিক চাপ থকায় একই স্থানে পরপর তিনটি জানাজা নামাজ পড়ানো হয়।
জানাজা শেষে মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে ফাউন্ডেশনের মসজিদের দক্ষিণ পাশে সাঈদীর বড় ছেলে মাওলানা রফিক সাঈদীর কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে কয়েক হাজার সাঈদী ভক্ত ও জামায়াত নেতারা জানাজা ও দাফনে অংশ নেয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) থেকে পুলিশি পাহারায় পিরোজপুরে আনা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সাঈদীর মরদেহ বহনকারী গাড়ি পিরোজপুর এসে পৌঁছায়।
জানাজা নামাজের নির্ধারিত সময়ের আগেই জানাজাস্থল ও এর আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। খুলনা, বাগের হাট, বরিশাল, ঝালকাঠিসহ আশপাশের মানুষেরা বাস, ট্রাক, মাঝারি ও ছোট যানবাহন নিয়ে পিরোজপুরে আসেন।
এ ছাড়া রাজধানী ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জামায়াত অনুসারীরা জানাজায় অংশ নিতে পিরোজপুরে আসেন।
জীবদ্দশায় দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ওসিয়ত ছিল তার মৃত্যুর পর তাকে যেনো খুলনা সদর উপজেলার বসুপাড়া দারুল কোরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা কম্পাউন্ডে দাফন করা হয়। দাফনের জন্য এ মাদ্রাসায় জায়গা নির্দিষ্ট করা ছিল। মসজিদের ইমাম আসাদুজ্জামান বিষয়টি গণমাধ্যমে জানান।
তবে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে পিরোজপুরেই দাফন করা হয় বলে জানিয়েছে সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।