জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে ফুল দিয়ে এই শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অফ অনার প্রদান করে।
পরে প্রধানমন্ত্রী অশ্রুসিক্ত নয়নে বেশ কিছুটা সময় সমাধির সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
দোয়া ও মোনাজাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ ওই কাল রাতে শাহাদাতবরণকারীদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
পরে দলীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী , শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী হাচান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস্ পরশসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা, তিন বাহিনী প্রধানসহ সামরিক-বেসামরিক ঊধ্র্বধতনকর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান। সেখানে কেন্দ্রীয় ও দলীয় নেতারা তাকে স্বাগত জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবনে চলে যান। এরপর বিভিন্ন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেখান থেকেই তিনি গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স মসজিদে মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন।
শোক দিবসে উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জ জেলার সড়ক জুড়ে কালো কাপড় দিয়ে নির্মাণ হয়েছে তোরণ। বিভিন্ন স্থানে টাঙানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। অফিস আদালত, বাসা-বাড়ি, দোকান ও বিভিন্ন দপ্তর, প্রতিষ্ঠানে টাঙ্গানো হয়েছে কালো পতাকা। বুকে শোকের চিহ্ন কালোব্যাজ ধারণ করেছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সসহ গোপালগঞ্জ জেলায় নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।