বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বহু ছাত্রীর জীবন নষ্ট করেছেন মোশতাক ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়া’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৪ আগস্ট, ২০২৩ ১৮:১৪

অপহৃতা স্কুলছাত্রীর সন্ধান ও অভিযুক্তদের বিচার চান বাবা

রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ধর্ষণ ও অপহরণের শিকার হওয়া ছাত্রী তিশার সন্ধান ও ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত খন্দকার মোশতাক আহমেদের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার বাবা মো. সাইফুল ইসলাম।

সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত বক্তব্যে মো. সাইফুল ইসলাম জানান, খন্দকার মোশতাক এখন পর্যন্ত ছয়টির বেশি বিয়ে করেছেন। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য হওয়ায় প্রতি বছর ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

মোশতাককে এসব কাজে সহযোগিতা করেন কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী। অধ্যক্ষের সঙ্গে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক থাকায় দুজনে মিলে বহু ছাত্রীর জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন বলে লিখিত অভিযোগে বলা হয়।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, তিশা ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মোশতাক তিশাকে দেখে কুপ্রস্তাব দেন। এতে সে সাড়া না দেয়ায় তাকে অপহণের হুমকি দেন। বিষয়টি তিশা তার বাবাকে জানালে তিনি বিষয়টি পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষকে অবহিত করলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

পরে নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে মেয়ে তিশাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও চলে যান তিশার সাইফুল ইসলাম। বিষয়টি টের পেয়ে মোশতাক গত ১২ জুন মাইক্রোবাসে সশস্ত্র ৮ থেকে ৯ জন সন্ত্রাসী নিয়ে তিশাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ বাবা সাইফুলের। এ ঘটনার পর গত ২২ জুন স্থানীয় থানায় একটি মামলা করেন তিনি।

তিনি জানান, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এখন দুষ্ট চক্রের খপ্পরে। এই চক্রটি ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রী ধর্ষণ ও ভর্তি বাণিজ্যের ঘটনা ঘটাচ্ছে। অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর সহযোগিতায় পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য নারীলোভী খন্দকার মোশতাক আহমেদ ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ঘটাচ্ছেন।

দুই মাস পার হলেও তিশার সন্ধান পায়নি পরিবার। মেয়েকে ফিরে পেতে ও ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিশার বাবা।

তিনি আরও জানান, বিতর্কিত অধ্যক্ষ ফওজিয়া রাশেদী ও খন্দকার মোশতাক আহমেদ ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জীবনই শুধু ধ্বংস করছেন না, পরিবারের স্বপ্নকেও হত্যা করেছেন তারা।

এভাবে কত ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন ও অপহরণ করা হয়েছে, কত ছাত্রীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়েছে, তা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। অধ্যক্ষের রহস্যজনক নীরবতা ও চরিত্রহীন মোশতাকের কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাবকরা ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন বলে জানান সাইফুল।

এ বিভাগের আরো খবর