দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
ইকবালের বহিষ্কারাদেশ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে ইকবালের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশের সিদ্ধান্ত ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে কোনো প্রসিডিংও চলবে না। একই সঙ্গে রুল জারি করেছেন আদালত।
‘শিক্ষাসচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
সাংবাদিক ইকবালের বহিষ্কারাদেশ চ্যালেঞ্জ করে রোববার রিট করা হয়।
এর আগে তিন দিনের সময় দিয়ে গত বুধবার আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু নোটিশ অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রিট করা হয়।
আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান জানান, যে অফিস আদেশের মাধ্যমে ইকবালকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে আদেশে কোনো আইন বা বিধির উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া তার সংবাদে উল্লেখিত উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃতের আপাত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, উপাচার্য তার ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেই ইকবালকে বহিষ্কার করেছেন।
গত ৩১ জুলাই উপাচার্যের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে ২ আগস্ট কুবি সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ও যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রশাসন।