বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু হত্যা, গ্রেনেড হামলার সময় মানবাধিকার কোথায় ছিল: শিক্ষামন্ত্রী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৩ আগস্ট, ২০২৩ ২৩:২৭

দীপু মনি বলেন, ‘আজও আমরা যখন কোনো নতুন উদ্যোগ নিতে যাই তখন দেখি, স্বাধীনতার পর মাত্র তিন বছর সময়ে বঙ্গবন্ধু সেটা করেছেন। সারাজীবনে বঙ্গবন্ধু কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেননি। দেশকে এগিয়ে নেয়ার পথরেখা তৈরি করেছেন তিনি।’

বঙ্গবন্ধু হত্যা, গ্রেনেড হামলা, মানুষ পুড়িয়ে মারার সময় মানবাধিকার কোথায় ছিল- মানবতাবাদীদের উদ্দেশে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘ষড়যন্ত্রের উৎপাটনই শোকাবহ আগস্টের অঙ্গীকার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন প্রশ্ন তোলেন। বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম এই সেমিনারের আয়োজন করে।

দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের সুশীল সমাজের বিশাল অংশ আজ মানবতার কথা বলে। বিভিন্ন দেশ এসে যখন মানবাধিকারের কথা বলে তখন তারা সঙ্গ দেয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে তাদের কথা নেই। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা নিয়ে কথা নেই। সে সময় মানবাধিকার কোথায় ছিল? ২০১৩-১৪ সালে পুড়িয়ে মানুষকে হত্যা করা হলো, পঙ্গু করে দেয়া হলো- এতে কারও মানবাধিকার (নিয়ে কথা) নেই, এটা কারো চোখে পড়ল না?’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আজও আমরা যখন কোনো নতুন উদ্যোগ নিতে যাই তখন দেখি, স্বাধীনতার পর মাত্র তিন বছর সময়ে বঙ্গবন্ধু সেটা করেছেন। সারাজীবনে বঙ্গবন্ধু কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেননি। ধাপে ধাপে সবকিছু করেছেন। পুরো দেশকে এগিয়ে নেয়ার পথরেখা তৈরি করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র আজও চলছে। তার বড় প্রমাণ বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর পিলখানায় বিডিআরের ঘটনা ঘটানো হলো। সেনাবাহিনীকে সরকারের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। সে সময় খালেদা জিয়ার রহস্যময় গতিবিধি ছিল। কাজেই ষড়যন্ত্র ছিল এবং আছে। ষড়যন্ত্রের জাল কেটে আমাদের এগোতে হচ্ছে।’

দীপু মনি আরও বলেন, ‘এখন যুদ্ধের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত এবং ধরন বদলেছে। এখন সোশ্যাল মিডিয়া ও সাইবার জগতে চারদিকে যুদ্ধ। আমাদের সেই যুদ্ধ করতে হবে। আজ মির্জা ফখরুল বলেন যে তারা সংখ্যালঘু নির্যাতন করেননি। আমরা এতটা ভুলো মন নই।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা২৪.কম-এর ডিরেক্টর (মিডিয়া) মো. আফিজুর রহমান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর