সুন্দরবনের জলদস্যু আসাবুর বাহিনীর প্রধানসহ আটজনকে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ আটক করেছে র্যাব। শনিবার গভীর রাতে খুলনার দাকোপ ও মোংলার ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
রোববার দুপুরে র্যাব-৬ এর প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আটককৃতরা হলেন- আসাবুর সানা, শরিফুল ঢালী, শাহিন সানা, ইস্রাফিল সানা, শফিকুল ইসলাম, রাকিব ফরাজি, সোহান মৃধা ও আকবর আলী শেখ।
সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘২৩ জুলাই সুন্দরবনের ভদ্রা নদীতে বেশ কয়েকজন জেলেকে জলদস্যুরা অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। সেখানে র্যাব-৬ অভিযান চালিয়ে অপহরণের সঙ্গে জড়িত ৫ জলদস্যুকে আটক এবং ১৪ জেলেকে উদ্ধার করে।
‘গ্রেপ্তারকৃত জলদস্যুদের দেয়া তথ্যমতে অন্য দস্যুদের গ্রেপ্তার করতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে র্যাব-৬ এর একটি দল আসাবুর বাহিনীর সদস্যদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দস্যুতার সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য দিয়েছে।’
তিনি জানান, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে এ পর্যন্ত র্যাব ৩৭০টি সফল অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে ৯১১ জন জলদস্যুকে গ্রেপ্তার ও দুই হাজার ২৮টি অস্ত্রের পাশাপাশি ৪২ হাজার ৬৯০ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের আহ্বানে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের ৩২টি জলদস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন জলদস্যু ৪৬২টি অস্ত্র ও ২২ হাজার ৫০৪ রাউন্ড গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে ‘দস্যুমুক্ত সুন্দরবন' ঘোষণা করেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘২০১৮ সালের ১ নভেম্বর থেকে সুন্দরবনে বড় ধরনের কোনো জলদস্যু বাহিনী সৃষ্টি হয়নি। মাঝেমধ্যে কয়েকজন মিলে দস্যুতার চেষ্টা করেছে। তবে জলদস্যুরা যখনই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তখনই র্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।’